দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা ছেড়ে দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা শুনতে রাজি হননি তিনি। পরিবর্তে মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি, এমনটাই জানা গেছে। আপাতত মামলা চলে গেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। পরবর্তী বিচারপতি নির্ধারণ করবে সেই বেঞ্চ।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে বিচারপতির সরে দাঁড়ানোর ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ''বিচারপতি মনে করেছেন তিনি যদি মামলা লড়েন তাহলে অসুবিধা হতে পারে। এই বিষয়ে আলাদা কোনও বক্তব্য নেই। তবে একটাই কথা বলতে চাই, জুডিশিয়ারি কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলে কোনও একজনের মামলা কে শুনবেন কী শুনবেন না, তা নিয়ে আলোচনা করতে হয়। এর মূল কারিগর ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতবর্ষের সবচেয়ে আস্থার যে জায়গা, তার গলা টিপে শেষ করে দিল ভাবতেও কষ্ট হয়।''
গত শনিবার রোড শো করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাকরিহারাদের ধর্নামঞ্চ থেকে 'চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও স্লোগান দেয়। এরপরই দু'পক্ষের মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিজিতের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন। অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলাদের সম্ভ্রমহানি, মারধর সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলার বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী।
এই হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে দেবাংশুর বক্তব্য, বিজেপির প্রার্থী মিছিল করে মনোনয়ন জমা করতে গেছিলেন। সেই মিছিল থেকে কোনও হামলার ঘটনা ঘটলে দায়িত্ব সেই প্রার্থী এবং দলের নেতৃত্বকেই নিতে হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ''তিনি নিজে বিচারপতি ছিলেন ভেবেছিলাম অবসর নেওয়ার পর অন্তত তিনি লজিক্যালি তিনি চলবেন। কিন্তু তার লজিক হারিয়ে গেছে কোথায় জানি না।''