কলকাতা, ১৭ মে : আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে শুক্রবার কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এখনই মাম্পিকে জামিন দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি। এজি-কে ডেকে পাঠানো হয় আদালতে। তিনি গেলে তারপর রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি।
পুলিশ কেস ডায়েরি দেখায়নি। তারপরও কীভাবে গ্রেফতার করা হল? কেন জামিন অযোগ্য ১৯৫এ ধারা যোগ করা হল মাম্পির বিরুদ্ধে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ কেস ডায়েরি না দেওয়ায় মাম্পি কী কী অপরাধ করেছে, তাও স্পষ্ট নয়।
সব শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, আই ও, ওসি, ম্যাজিস্ট্রেট সবাইকে ডাকা হোক। এমনকী নিম্ন আদালতের বিচারকের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘বিচারক কী করছিলেন? পুলিশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।’ এরপরই এজি কিশোর দত্তকে আদালতে যেতে বলেন বিচারপতি। তারপর রায় দেওয়া হবে।