দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চলা 'নোয়া' বিতর্কে এবার মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেন, 'নোয়া' খোলার কথা জানতে পেরে এক তরুণী প্রথমে পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। কিন্তু পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করে পরীক্ষা দেন। পাশাপাশি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
গত রবিবার এসএসসির একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় অংশ নিতে কালনার হিন্দু গার্লস হাই স্কুলে এসেছিলেন এক তরুণী। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে তার মেটাল ডিটেক্টর চেকিংয়ের সময় হাতে থাকা 'নোয়া' খুলতে বলা হয়।কিন্তু ওই তরুণী তাতে আপত্তি জানান। তিনি বলেন, তার এক মাস আগে বিয়ে হয়েছে এবং কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি নোয়া খুলবেন না। এরপর তিনি পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। এই ঘটনাটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই বধূ। শ্রীরামপুরের সাংসদ লিখলেন, “মনীষা সিকদার, রোল নম্বর ১২২২৫২৯০৩০৫৭। ১৪০০ নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে সিট পড়েছিল তাঁর। চেকিংয়ের সময় তাঁর হাতে ধাতব বালা থাকায় মেটাল ডিটেক্টর বেজে ওঠে। প্রথমে সে পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে যায়। তবে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।” কল্যাণ দাবি করলেন, পরিকল্পনা মাফিক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়।