kolkata

1 year ago

Suvendu Adhikari :"দম্ভ যখন মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে মানুষ আবোল তাবোল বকে", মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari and Mamata Banerjee
Suvendu Adhikari and Mamata Banerjee

 

কলকাতা, ১৬ মে: “মহাপ্রভু জগন্নাথ দেব ওনাকে সুবুদ্ধি প্রদান করুন এই প্রার্থনা করি। দম্ভ যখন মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে, তখন মানুষ আবোল তাবোল বকে”। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এ কথা লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “সারা বিশ্বের অনেকেরই মত বাঙালির প্রাণের শহর উৎকলের শ্রীক্ষেত্র; পুরীর জগন্নাথ ধাম সনাতন ধর্মের অন্যতম পীঠস্থান।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগন্নাথ অবতারে পুরীর মন্দিরে অধিষ্ঠান করেন, সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই বলভদ্র এবং ছোট বোন সুভদ্রাও একই আসনে অধিষ্ঠান করেন।পুরীর রথযাত্রা উপলক্ষে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজপথ, রথ টানার জন্য জনপ্লাবন সৃষ্টি হয় প্রতি বছর।কয়েক শতাব্দী পূর্বে নির্মিত অলৌকিক এই মন্দিরের সঙ্গে কত আশ্চর্যজনক ঘটনা জড়িত তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান ও দিতে ব্যর্থ। যেমন মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকা লাগানো থাকে, সবসময় যে দিকে হাওয়া চলে তার বিপরীত দিকে পতাকাটি ওড়ে।

জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং ২১৪ ফুট উঁচু, অথচ এই মন্দিরের চূড়ার কোনও ছায়া দেখা যায় না। মন্দিরের চূড়ায় একটি চক্র লাগানো রয়েছে, যে কোনও প্রান্ত থেকে ওই চক্রের দিকে তাকান, মনে হবে চক্রটি আপনার দিকেই ঘোরানো। চক্রটির ওজন প্রায় এক টন। ১২ শতকে মন্দির নির্মাণের সময় চূড়ায় কিভাবে বসানো হয়েছিল, তা এক রহস্য, কারণ সেই সময় প্রযুক্তি কতটা উন্নত ছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

জনশ্রুতি, লোকগাথা, পৌরাণিক কাহিনী ও ইতিহাসের আবরণে মোড়া প্রাচীন ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্র; পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের থেকেও নাকি "বড় মন্দির" বানাচ্ছেন মাননীয়া !মহাপ্রভু জগন্নাথ দেব ওনাকে সুবুদ্ধি প্রদান করুন এই প্রার্থনা করি।জয় জগন্নাথ।”


You might also like!