দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালির পথে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে বাধা দেয় পুলিশ। রাজ্যপালের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে টিম।সকলকে আটক পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই দলই রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে বাংলায় রাষ্ট্রপতি সুপারিশ জানাল।
শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিনই তাঁরা সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য হোটেল থেকে বেরোলে ভোজেরহাটে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রবিবার ফের সন্দেশখালি যেতে চায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু এবারও তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুলিশের। ভোজেরহাটেই টিমকে আটকে দেওয়া হয়। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তখন টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, আইনজীবী-সহ ৬ জন সদস্য রয়েছেন এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে। তাঁরা যে রাজভবনে যাবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, রবিবার রাতেই তাঁরা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সব অভিযোগ শুনে এবং সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে ফের রাজ্য পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল বোস। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম শুধু নয়, এর আগে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এমনকী জাতীয় তফসিলি কমিশনও একই দাবি করেছে।
১৪৪ ধারা জারি আছে এই কথা বলেই রবিবার সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হয়নি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। যখন থেকে সন্দেশখালি উত্তপ্ত হয়েছে তখন থেকেই পুলিশকে বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে বাধা দিতে দেখা গিয়েছে। সন্দেশখালি ঢোকার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি আটকানো হয়েছিল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ মহিলা নেত্রীদের।
যদিও আদালতের অনুমতি নিয়ে সেখানে গেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। পরে পুলিশের অনুমতি পেয়ে একা সন্দেশখালি গেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে অবশ্য তাঁকে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।