দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়ালদহের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোতে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তবে কলকাতা পুলিশ তাঁর সব অভিযোগ খারিজ করে স্পষ্ট করে দিয়েছে, “মানুষের সুরক্ষার সাথে কোনো আপস করা হবে না।” সজলের অভিযোগের জবাবে তৃণমূলও কড়া পালটা তোপ দেগেছে। পুলিশের লাইন সামলানোর বন্দোবস্তের দিকে আঙুল তুলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বন্ধ করে দিতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন সজল। তিনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্যোক্তা। সজলের অভিযোগ ছিল, পুলিশ বারবার চিঠি দিচ্ছে। অডিও-ভিডিও শো নিয়ে জানতে চাইছে। ৭০০ মিটারের লাইন ঘুরিয়ে তিন কিলোমিটার করে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিমার মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়ে দশমীর আগেই নিরঞ্জন করে দিতে হবে। তবে বিজেপি নেতার যাবতীয় অভিযোগ এদিন খারিজ করে দেয় পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা নিজে এই ইস্যুতে বলেন, “ভিড় সামলাতে ‘ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’ তো সব মণ্ডপেই হয়। মানুষের সুরক্ষার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা যাবে না। ভিড় যাতে কোনওভাবে না দাঁড়িয়ে যায়, সেটাই দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, “মানুষের সুরক্ষার জন্য পুলিশ তো ভিড় সামলাবেই। সেটা করতে গিয়ে যা যা করার প্রশাসন করছে। সজলের অভিযোগের পাল্টা পুলিশ কমিশনার আরও বলেছেন, “ভিড় দাঁড়িয়ে গেলে তো প্রভাব পড়বে। চতুর্থীর দিন ভিডিও ফুটেজে দেখেছি। মণ্ডপের ভিডিও দেখার জন্য ২-৩ মিনিট ভিড় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাহলে তো পিছনের চাপ বাড়বেই। অঘটন ঘটে যেতে পারে।” কুণালের পাশাপাশি তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যর কথায়, “মানুষের যদি বিপদ ঘটে, তখন ওরাই বলবে, দেখেছো মহাকুম্ভের সময় তৃণমূল বলেছিল, নিজেরা রাজ্যে করতে পারেনি। আমাদের বিরোধীর পুজো বলে এটাতে মানুষকে মেরে দিল।”