kolkata

2 hours ago

Bansdroni Body Recovered: বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই নিখোঁজ—বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা-ছেলের নিথর দেহ!

Bodies of mother and son recovered from Banshdroni Northern Park residence
Bodies of mother and son recovered from Banshdroni Northern Park residence

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা শহর। নজিরবিহীন এই দুর্যোগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে একের পর এক। তার মাঝেই সামনে এল আরও এক মর্মান্তিক দৃশ্য—বাঁশদ্রোণীর নর্দার্ন পার্কের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের নিথর দেহ। ঘটনা যেন ফিরে দেখাল চলতি বছরের ট্যাংরার করুণ স্মৃতি।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম শীলা দাশগুপ্ত ও সুতীর্থ দাশগুপ্ত। স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আবাসনে থাকতেন তিনি। এক মাত্র ছেলে সুতীর্থ বেসকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরে সুতীর্থ মানসিক সমস্য়ায় ভুগছিলেন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই মা-ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার ফ্ল্য়াট থেকে পচা গন্ধ পেয়ে বাঁশদ্রোণী থাকায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে মেঝেয় পড়ে মা ও ছেলের দেহ। খুন না আত্মহত্যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।             

চলতি মাসের ৭ তারিখ, এই  বাঁশদ্রোণীতেই এক শিক্ষিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই অঞ্চলেই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। সেই ভাড়াবাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় , পেশায় স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুদীপ্তা মাইতি। বিবেকানন্দ পার্কের ভাড়াবাড়িতে  এক পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে থাকতেন তিনি। মৃত্য়ুর আগে একটি ভিডিওতে আত্মহত্য়ার কথা জানিয়ে বন্ধুকে পাঠান শিক্ষিকা। তদন্তে নেমে সেই ভিডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও অনেক ধোঁয়াশা।  

শুধু একটাই নয়, গত কয়েক মাস ধরেই একাধিক রহস্যজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে চলেছে বাঁশদ্রোণী এলাকায়। গত জুলাই মাসে নিরঞ্জন পল্লির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ। মৃত যুবকের নাম সুব্রত দে, বয়স ৩৩। শেয়ার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত আসানসোলের বাসিন্দা সুব্রত মাসখানেক ধরে বাঁশদ্রোণীর ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে উদ্ধার করে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরপর এই ধরনের ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক, থমথমে পরিস্থিতি।

You might also like!