দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টি থেমে যাওয়া সত্ত্বেও ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কাটলেও কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। একাধিক পুজো মণ্ডপের জল জমে আছে। তার মধ্যে অন্যতম চালতাবাগানের রামমোহন শক্তি সঙ্ঘের দুর্গা পুজোর মণ্ডপ, যা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুজোর সাজসজ্জা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি প্রতিমাও গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পুজো হয় চালতাবাগান এলাকায়। বর্তমানে সেখানে কলকাতা পুরসভা পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। চালতাবাগানের এই পুজো মণ্ডপের আশপাশের সমস্ত রাস্তাতেই জল থইথই অবস্থা। তৃতীয়ার সকালে দেখা গিয়েছে, চালতাবাগান রামমোহন শক্তি সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে এখনও প্রচুর জল জমে রয়েছে। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মণ্ডপ। যে সমস্ত পেন্টিং ছিল মণ্ডপে সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেলের কাজ করাই যাচ্ছে না। গণেশ এবং লক্ষ্মী ঠাকুরের প্রতিমা জলের তলায় চলে গিয়েছে। মহালয়ার দিন মণ্ডপে এসেছিল প্রতিমা। চালতাবাগান রামমোহন শক্তি সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে ঘটেছে এই কাণ্ড।
সোমবার রাতের মারাত্মক বৃষ্টিতে প্রতিমার কাছে অবধি জল চলে যায়। মা দুর্গার প্রতিমা অক্ষত থাকলেও বাকি প্রতিমাগুলি জলের তোড়ে গলে গিয়েছে, ভেসে গিয়েছে সবকিছু। মণ্ডপ সজ্জায় যা যা আয়োজন ছিল তার বেশিরভাগই তছনছ হয়ে গিয়েছে। মাটির প্রতিমা পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র খড়ে। নিরাপত্তার জন্য প্যান্ডেলের ভিতরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত পরশু পর্যন্ত যে পুজো মণ্ডপে জোরকদমে কাজ চলছিল, আজ সেখানে কাজ করাই যাচ্ছে না। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরাও বলছেন যে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবকিছুই। ষষ্ঠীর আগে কাজ শেষ হবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। মণ্ডপের সাজসজ্জা থেকে প্রতিমা, সবই প্রায় ভেসে গিয়েছে। মাটি গলে গিয়ে খড়ে পরিণত হয়েছে। নতুন করে ঠাকুরের বায়না দেওয়া, কবে প্রতিমা আসবে এই মণ্ডপে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মা দুর্গার প্রতিমা ছাড়া বাকি সব মূর্তিরই মাটি গলে গিয়ে খড়ে পরিণত হয়েছে।
শুধু চালতাবাগান নয়, কলকাতার অনেক পুজো মণ্ডপেও ঢুকে পড়েছে জল, ভেঙে গিয়েছে মণ্ডপসজ্জা। উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রিটের পুজোও সোমবারের ভয়াবহ বৃষ্টির পর জলমগ্ন হয়ে ভাসতে দেখা গেছে। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন প্যান্ডেলেও জল জমে থাকার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া শহরের একাধিক এলাকায় এখনো জমে আছে প্রচুর জল, যা তীব্র যানজটের কারণ হয়েছে। এর ফলে নিত্যযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।