দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শহরের অলিতে-গলিতে, বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালানে এখন সাজ সাজ রব। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়ি। এখানে মহালয়ার অনেক আগেই বেজে উঠেছে ঢাক, শুরু হয়েছে মন্ত্রপাঠ। কারণ, পৌরাণিক প্রথা মেনে আদ্রা নক্ষত্রেই এই বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপূজা। শুক্লা নবমী পর্যন্ত চলবে এই আরাধনা। এরই মধ্যে উৎসবে মেতে উঠেছেন পরিবারের সবাই।
পরিবারের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস পুজো করেন। তাঁর দিদি মৌমিতা পেশায় চিকিৎসক। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে মরিয়া দুই ভাইবোন। তাঁদের অত্যন্ত ঝোঁক রয়েছে পূজার্চনায়। সে কারণে পুরাণ, বেদ, উপনিষদ পড়তে শুরু করেন। সেই অনুযায়ী পুজো করেন তাঁরা। রাধাকৃষ্ণের ঘরের পাশেই হয় দেবী আরাধনা। এখানে দেবী পূজিতা হন কন্যা হিসাবে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ অধিবাস। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মহাপুজো। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চালকুমড়ো বলি হয়। বলির সময় দেবীপ্রতিমার সামনে কাউকে বসতে দেওয়া হয় না। সেই সময় দেবী রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। অষ্টমীতে অন্নভোগ হয় না। নবমীতে কুমারী পুজো হয়। দশমীতে পান্তা ও কচুর লতি দেওয়া হয় দেবীকে। তারপরই মনভার করা বিদায়ের পালা। বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সদস্যরা ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়িতে জড়ো হন। এই কটাদিন আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। নিজে হাতে ভোগ রান্না করেন পরিবারের মহিলা সদস্যরা। কোমর বেঁধে কাজ করেন পুরুষ সদস্যরাও।