West Bengal

2 hours ago

Kakdwip News: কাকদ্বীপে শিক্ষককে মার, প্রকাশ্যে এল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার চিঠি!

Viral Video Shows TMC Leader Attacking Acting School Headmaster
Viral Video Shows TMC Leader Attacking Acting School Headmaster

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কাকদ্বীপে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার 'হুমকি' চিঠি। চিঠি না স্বাক্ষর করায় ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি পালকে লেখা চিঠি তৃণমূল নেতা ত্রিদিব বারুইয়ের। চিঠিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণ বাতিলের চাপসহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগও তোলা হয়েছে। 

এই চিঠিটি গত ১৬ তারিখে রিসিভ করাতে গিয়েছিলেন কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি পালের কাছে। গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি ত্রিদিব বারুই। শিক্ষামূলক ভ্রমণ নিয়ে যে তাঁদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছিল, এই চিঠির ছত্রে ছত্রে তা প্রকাশ পাচ্ছে। চিঠিতে একাধিক অভিযোগ করেছেন ত্রিদিব বারুই। ট্যুরে কারা যাবেন, গাইড কে থাকবেন, কোথায় থাকবেন এবং কোন কোন শিক্ষক থাকবেন...যে মিলনকান্তি পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই চিঠি তাঁর কাছেই রিসিভ করাতে গিয়েছিলেন ত্রিদিব বারুই। কিন্তু, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চিঠিটি নিতে অস্বীকার করেন। তারপর ক্লার্কের কাছে যান ত্রিদিব বারুই। সেখান থেকে রিসিভ করার পর...আবার নতুন করে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। তখনই বচসা। শিক্ষক অফিসের মধ্যে ছিলেন। মিলনকান্তি পালের অভিযোগ, সেখানে তাঁকে একপ্রস্থ মারধর করা হয়। তারপর তাঁকে টানতে টানতে বের করে নিয়ে আসে। প্রধান শিক্ষকের রুম তালাবন্দ করে দেন। তারপর করিডর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কিল, ঘুষি মারতে মারতে স্কুলের শেষ প্রান্তে এসডিপিও অফিস পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। 

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, "চিঠিটা যে কী সেটা সম্পূর্ণরূপে নিখুঁতভাবে আমার পড়া হয়ে ওঠেনি। কারণ, সেইসময় উপস্থিত ক্ষেত্রে যেগুলো আমার চোখে পড়েছিল, সেগুলো মিথ্যা বলে মনে হয়েছে। ঠিক সেই কারণে আমি রিসিভ করতে চাইনি। আমি দেখলাম, আমার ডেথ সার্টিফিকেটে আমাকেই সই করতে হবে। এমনই অবস্থা। আমার নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি সেটা রিসিভ করতে পারি নাকি ? সেগুলো মিথ্যা অভিযোগ। এই কারণে এবং সেই চিঠিটি যখন আবার তিনি নিয়ে চলে গেলেন ক্লার্কের কাছে, ক্লার্ককে বাধ্য করলেন জোর করে সই করতে। তিনি লিখেছেন, সই করেছেন। স্কুলের স্ট্যাম্প কিছু দেননি। তাতে একটি কপি তো ক্লার্কের কাছে জমা দিতে হয়। তিনি দেননি। ফলে, আমার এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে সেটা জানা নেই।"

You might also like!