Breaking News
 
JU Bratya Basu Attack: যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলার ছক স্পেন থেকে-দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদার! "Detention To Continue": বাংলাদেশি সন্দেহে ধরপাকড় চলবেই, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলনা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট! Kanyasree Divas: কন্যাশ্রী দিবসে সাফল্যের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর, বিশ্বের ৫৫২ প্রকল্পের মধ্যে সেরা পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী! Karachi aerial firing: স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে শূন্যে গুলি, করাচিতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু, আহত ৬৪! Bengal Metro Expansion: একসঙ্গে তিন মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন, কলকাতায় মোদি সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত! Kolkata Metro: নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রোর পথে বড় পদক্ষেপ, শুরু হচ্ছে সয়েল টেস্টিং – আশার আলো উত্তর শহরতলিতে!

 

Travel

1 year ago

Gautameshwar Temple: জীবনে পাপের বোঝা বাড়িয়ে ফেলেছেন? এই মন্দিরে পাবেন পুণ্যের সার্টিফিকেট

Gautameshwar Temple
Gautameshwar Temple

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃপুণ্যের সুখকর ফল ভোগ করার চেয়েও পাপের শাস্তি পাওয়ার ভয় মানুষের অনেক বেশি। পাপের কালিমা ধুয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে তোলার আশায় বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকেন মানুষ। বিভিন্ন নদী, জলাশয়ে স্নান করা, মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে নিজ নিজ বিশ্বাসে বহু আচার মেনে চলতে দেখা যায় ভক্তদের। আর, সেই আচার পালন করলে যে সত্যি সত্যি পাপ- খণ্ডন করার লিখিত সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, তা অবশ্য অনেকটাই বেশি নিশ্চিন্ত করছে ধর্মপ্রাণ তীর্থযাত্রীদের।

রাজস্থানের এক মন্দিরে ভক্তদের রীতিমতো পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। পাপ খণ্ডন করতে ভক্তদের খরচও খুব বেশি নয়, মাত্র ১২ টাকা। এইটুকু অর্থ খরচ করেই সেই মন্দির থেকে পেয়ে যেতে পারেন পাপ খন্ডনের অভিনব শংসাপত্র।

রাজস্থানের প্রতাপগড়ে রয়েছে গৌতমেশ্বর মহাদেব পাপমোচন তীর্থ। কয়েক শতক ধরেই তীর্থক্ষেত্র হিসাবে এই মন্দির বেশ জনপ্রিয়। ‘আদিবাসীদের হরিদ্বার’ হিসাবেও অভিহিত করা হয় এই মন্দিরকে। এটির মধ্যে রয়েছে একটি জলাশয়, যার নাম ‘মন্দাকিনী পাপ মোচিনী গঙ্গা কুণ্ড’। সেখানে স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়ে পুণ্য অর্জন হয় বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। মন্দিরে মাত্র ১২ টাকা জমা দিয়ে জলাশয়ে স্নান করলেই দেওয়া হয় পাপ মুক্তির শংসাপত্র।

এবিষয়ে মন্দিরের এক পুরোহিতের বক্তব্য, “গ্রামবাসী এবং আশপাশের এলাকার মানুষরা নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য এই মন্দিরে আসেন। তাঁরা পাপ মুক্তির শংসাপত্র নিয়ে যান।” আরেক পূজারীর বক্তব্য, “অনেক সময় মনের ভেতরকার পাপবোধ মানুষকে এখানে নিয়ে আসে। সব সময় যে তাঁরা খুব অপরাধ করেন, এমনটা নয়। কৃষিকাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক অনিচ্ছাকৃত প্রাণী হত্যা হয়ে যায়। কোনও সরীসৃপ বা তাঁর ডিম ফেলে দেওয়া। পোকা মেরে ফেলার মতো কাজ করেও পাপ বোধ করেন অনেকে। সেই থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে এখানে শংসাপত্র নিতে আসেন।”

গৌতমেশ্বর মন্দির থেকে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০টি পাপ মুক্তির শংসাপত্র দেওয়া হয়। দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই এই রীতি চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু পাপ মুক্তি নয়, এই শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যেও প্রত্যেক বছর হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে।


You might also like!