দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষা মানেই প্রকৃতির পুনর্জন্ম। চারপাশে সবুজের সমারোহ, নদীর ধারা সজীব, আর পাহাড়-জঙ্গলে বৃষ্টি পড়ার শব্দ যেন সঙ্গীতের মতো শোনায়। এই সময় ২-৩ দিনের ছোট ছুটিতে কোথাও ঘুরে আসার পরিকল্পনা করলে, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার কিছু অনবদ্য গন্তব্য হতে পারে আপনার তালিকার শীর্ষে। অল্প বাজেটেও আপনি উপভোগ করতে পারেন বর্ষার প্রকৃত সৌন্দর্য। চলুন জেনে নিই এমনই ৫টি বিশেষ জায়গার কথা।
১)গালুডি, ঝাড়খণ্ড: সুবর্ণরেখার পাশে ছোট্ট শহর। তাকে জড়িয়ে রেখেছে সাতগুরুম নদী ও তার শাখারা। ঘাটশিলা থেকে ৯ কিলোমিটার এবং জামশেদপুর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরের শহরের বর্ষাভেজা জঙ্গলে মোড়া পথে হাঁটলে মন শান্ত হতে বাধ্য। জঙ্গলের রাস্তায় দেখা মিলতেই পারে হাতি বা হরিণের। চাইলে নেকড়া ডুঙরি, ফুলডুঙরি কিংবা রুক্মিনী পাহাড়ে ট্রেকও করে আসতে পারেন। সুবর্ণরেখার পাড়ে বসে সূর্যাস্ত দেখতেও মন্দ লাগবে না। সঙ্গে গাড়ি থাকলে বা লোকাল গাড়ি ভাড়া নিয়ে ৪ কিলোমিটার দূরের বুরুডি লেক কিংবা ধারাগিরি জলপ্রপাত থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। হাতে ২-৩ দিনের ছুটি থাকলে চলে যেতেই পাড়েন গালুডি।
২)পাত্রাতু ভ্যালি, ঝাড়খণ্ড: পর্যটনের মানচিত্রে নবীন রাঁচির এই পাত্রাতু ভ্যালি। রাঁচি শহর থেকে এর দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। পাত্রাতুর সৌন্দর্য শুরু হয় শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে খানিক এগোলেই। চড়াই শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় প্রকৃতির উজাড় করা রূপ। বর্ষার দিনে পত্রাতু ঘন সবুজ। অনুচ্চ পাহাড়ের বুকে এঁকেবেকে উঠেছে কালো পিচের মসৃণ রাস্তা। এখানে রয়েছে নানা ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা। পাত্রাতু থেকে পালানি জলপ্রপাতের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। বর্ষায় রাস্তাটি বেশ উপভোগ্য।
৩)সন ঘাগরা জলপ্রপাত, ওড়িশা: ওড়িশার কেন্দুঝার শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ‘সানা’ অর্থ ছোট এবং “ঘাগরা” অর্থ জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটি মাছ কান্দানা নদীর উপর অবস্থিত। সবুজে মোড়া, চারিদিকে শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। জলের আওয়াজ শুনতে শুনতে কীভাবে সময়টা কেটে যাবে, তা বোঝাও যাবে না।
৪)কানহাকুণ্ড, ওড়িশা: পড়শি রাজ্যের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন কানহাকুণ্ড। ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে ওড়িশার কালাহান্ডি জেলায় অবস্থিত। হাইকিংয়ের জন্য আদর্শ। বর্ষায় আরও সুন্দর হয়ে ওঠে এই গিরিখাত।
৫)দেবগড় জলপ্রপাত, ওড়িশা: ওড়িশার সুন্দর এবং অপেক্ষাকৃত কম ভিড়ের এক গন্তব্য। পাহাড়ি পথে বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে এই ঝর্ণা দেখতে একবার গেলে মনেই হবে না আপনি শহরের বাসিন্দা।