দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র একগুচ্ছ অভিযোগ শোনার পর কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা চাইলে পুলিশের কাছে না গিয়ে জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাতে পারেন। শেখ শাহজাহানকে যে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই তা স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সন্দেশখালিতে যে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত কোন পথে? সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল দাবি করেন, ওখানকার মহিলারা যারা নিগৃহীত হয়েছেন তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ লেখাতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির মাধ্যমে ক্যাম্প করে ওই নিগৃহীত মহিলাদের অভিযোগ শোনা হবে। প্রধান বিচারপতির কথায়, চাইলে কোনও অভিযোগ জানাতে জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যেতে পারেন মহিলারা। তবে আইনি সহায়তা কেন্দ্রের যাঁরা অভিযোগ নেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এদিন আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কেও সন্দেশখালীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে এদিন রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন, ওই এলাকায় গত চার বছর ধরে যৌন নিগ্রহের মোট ৪৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৪৭টি মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে বাকি মামলার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি জানান হয়েছে, জমি কেড়ে নেওয়ার মোট ২৪টি এফআইআর রুজু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। বিষয়টি শোনার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন এটা খুব বিস্ময়কর যে, চার বছর ধরে রাজ্য পুলিশ সবই জানত। অথচ ব্যবস্থা নিতে এত সময় লেগে গেল।
শাহজাহানকেও যে রাজ্য পুলিশ এতদিনে গ্রেফতার করতে পারত সেটাও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাবে না, এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল শুধু। রবিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছিলেন তারপর আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি সে অপরাধী হয় তাহলে পুলিশের গ্রেফতারের কোনও বাধা নেই।