দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্টিং অপারেশনের ভিডিও ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন এক অভিযোগকারী। এবার সাদা কাগজে সই ও ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন শেখ শাহজাহান। আদালতে পেশের সময় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সন্দেশখালির ‘বাঘে’র জবাব, ‘‘ভোটটা শেষ হোক, আরও সত্য ঘটনা সামনে আসবে।’’
এদিন প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় অনেকটাই খোশমেজাজে দেখা যায় সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে। শাহজাহানের পাশাপাশি শেখ আলমগির, জিয়াউদ্দিন-সহ আরও তিন জনকে এদিন আদালতে আনা হয়। নীচুস্বরে পরস্পরকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে অন্যদিনের মতো এদিন শাহজাহান-সহ কারও চোখে, মুখেই সেই হতাশার ছবি দেখা যায়নি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শাহজাহান বোঝাতে চেয়ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের সব অভিযোগই সাজানো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও স্পষ্ট হবে।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি। সেই সময়েই স্থানীয়দের হাতে মার খেয়ে পালিয়ে আসতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। অভিযোগ ওঠে, শেখ শাহজাহানের বাড়ির দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করতেই হাজার হাজার মহিলা পুরুষ ইডির দিকে তেড়ে এসেছিলেন লাঠি, বাঁশ, লোহার রড হাতে। তাতে রক্তাক্ত হতে হয় বেশ কয়েকজন ইডি আধিকারিককে। এরপরেই ফেরার হয়ে যান শাহজাহান।
তারপরেই শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে পথে নামে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশ। সংগঠিত হন গ্রামের মহিলারা। নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। কার্যত গণরোষের মুখেই শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দুই নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৫৬ দিন পর অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। পরে পুলিশের থেকে তাকে হেফাজতে নেয় ইডি।
এরইমধ্যে গত শনিবার সকালে সন্দেশখালির এক বিজেপি নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনাও মিথ্যে। এই ভাইরাল ভিডিওয় যে বিজেপি নেতার স্বীকারোক্তি সামনে এসেছে, সেই গঙ্গাধর কয়াল বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। এই ভিডিও সামনে আসার পরে তিনি নিজেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এমনকী সুরক্ষা চেয়ে শুক্রবার হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর।