দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আগমী ২৭ মার্চ শেষ হচ্ছে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর তারপর থেকেই ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের প্রচার করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।এবার তাই রাস্তা অনুযায়ী গতিসীমা বেঁধে চালকদের সচেতন করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee )।
মঙ্গলবার নবান্নের সামনে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে এই কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘শীতের শেষে এই সময় ধোঁয়াশা এবং কুয়াশা হয়। ফলে পথদুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে অন্তত তিন-চার দিনের জন্য গাড়ি চালকদের সচেতন করতে পথে নামুক পুলিশ।’’ মঞ্চে উপস্থিত রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে এই নিয়ে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পথদুর্ঘটনায় লাগাম পরাতে সমস্ত রাস্তায় গতিসীমা নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তরকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই কর্মসূচি অনেকেই নকল করছে। এতে আমরা খুশি। ভালো জিনিস সবসময়ই নকল করা উচিত। খারাপটা নয়।’’ এদিনের মঞ্চ থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ২৫টি অত্যাধুনিক জীবনদায়ী অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ৮ কোটি টাকা মূল্যের এই ২৫ টি অ্যাডভান্স লাইভ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের টাকায় কেনা হয়েছে। এর আগেও দুশোর বেশি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা দুটি মোবাইল ডেন্টাল ভ্যান পাঠানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল ও বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে। উদ্বোধন হওয়া অ্যাম্বুল্যান্সগুলির মধ্যে পাঁচটি ছাড়া বাকিগুলি সব গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই তথ্য জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রায় ৬৭ কোটি টাকা রাস্তার কাজের জন্য দিয়েছি। সেই টাকাও রাজ্যসভার এমপিদের। আপনারা রাস্তায় যে অ্যাম্বুল্যান্স দেখেন আগে কিছুই ছিল না।’’
অ্যাকটিভ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে অক্সিজেন সাপোর্ট সিস্টেম থাকবে। থাকবে সিসিইউ মনিটর। রাজ্যে ১০২ ডায়ালের অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। কিন্তু সেগুলি শিশু ও প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু গুরুতর জখম অথবা হৃদরোগ অথবা সেরিব্রাল স্ট্রোক আক্রান্তদের হাসপাতালে নিখরচায় নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা অমিল। দীর্ঘদিনের সেই চাহিদা অনেকটাই পূরণ হল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দেন, রেলের যত প্রকল্প হয়েছে, বাংলায় মেট্রোর যত কাজ হয়েছে সব আমার সময়ে করা। আমি এই সবুজ ফ্ল্যাগ অনেক ধরেছি।’’