দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রদেশ কংগ্রেসে বড় ধাক্কা৷ এ বার কংগ্রেস ছাড়লেন জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি৷ তিনি ইতিমধ্যে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গুলাম আহমেদ মীরকেও তিনি এই চিঠি দিয়েছে ।
ই-মেল মারফত তিন পাতার একটি চিঠি কংগ্রেস সভাপতির কাছে পৌঁছে দেন কৌস্তভ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ছাড়ার কারণও। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আত্মসম্মান খুইয়ে তিনি কংগ্রেসে থাকতে চান না। তবে তিনি মাথা মুণ্ডন করে যে তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎখাত করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই অবস্থান থেকে সরছেন না। রাজনীতিতেই যে থাকবেন, সে বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই আইনজীবী।
কৌস্তভের কথায়, “আমাকে হয়তো এখন অনেকেই দলবিরোধী তকমা দেবেন। কিন্তু আমি বার বার একটা কথা বলে এসেছি, এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের বিষয়টির আমি বিপক্ষে। কংগ্রেসই এখানে নিজেকে তৃণমূলের আউটফিট বলে মনে করছে। শীর্ষ নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেসকে কোনও গুরুত্বই দেয় না। তাই আত্মসম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করে দলে থাকতে চাই না।” এর পরই উসকে দেন বিজেপি যোগের জল্পনা। বলে দেন, “দু-একদিন অপেক্ষা করুন। পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর তাছাড়া এখন একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই পারেন বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে হঠাতে।” অর্থাৎ কৌস্তভের গেরুয়া শিবিরে যোগ যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি একাধিক ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল কৌস্তভের। সন্দেশখালি কাণ্ডে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেখানে মুখে কুলুপ কংগ্রেসের। যা নিয়ে বিরক্ত তিনি। আবার সম্প্রতি তাঁর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দুকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কৌস্তভ। সেখানে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চলেছেন তিনি। এমনটাই খবর রাজনৈতিক মহলে।