কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারি : ভিডিয়ো পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্বরূপ উন্মোচিত করতে চাইলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিয়োতে রয়েছে কবে, কার সম্পর্কে শুভেন্দুবাবু কী মন্তব্য বা বিশেষণ ব্যবহার করেছিলেন। কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। কী-ই বা বলেছিলেন আদিবাসী নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে।
সেই ভিডিয়ো এক্সে পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, ‘‘দু’মিনিটের এই ভিডিয়োটি দেখুন। সাক্ষী হোন, কী ভাবে বিজেপি বাংলার মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অনেক আবেদনের পরেও কলকাতা হাই কোর্ট এই ব্যক্তিকে (শুভেন্দু) রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে।’’
পাশাপাশি প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ‘‘কারা এই ধর্মান্ধতা, ঘৃণা ছড়াচ্ছে? কী এমন আছে, যে কারণে কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে (শুভেন্দুকে) রক্ষাকবচ দিতে বাধ্য হয়?’’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ আনছে বিজেপি। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের উদ্দেশে কুণালের বলা শব্দ নিয়ে সরব পদ্মশিবির। অগ্নিমিত্রা কুণালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন।
পাল্টা ভিডিয়ো দিয়ে কুণাল দাবি করেছেন, অগ্নিমিত্রা নিজেই বলেছেন ‘নির্লজ্জ’ ‘বেহায়া’ শব্দ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁর উদ্দেশে নয়। তার পরেও মিথ্যা রটানো হচ্ছে। অনেকের মতে, অভিষেক এক পোস্টে দু’টি বিষয় উল্লেখ করতে চাইলেন। এক, যখন কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তখন বিষয়টি শুভেন্দুর দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইলেন। দুই, শুভেন্দুকে নিশানা করে তোপ দাগলেন আদালতের ভূমিকা নিয়েও।
কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের আইটি সেল সমাজমাধ্যমে শুভেন্দুবাবুর পুরনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিচ্ছিল। যখন তিনি ছিলেন তৃণমূলের নেতা। সেই সময়ে শুভেন্দুবাবুকে একটি সভায় বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘ভগবান শ্রী শ্রী পুরুষোত্তম রামচন্দ্র মহারাজকে ভোটের এজেন্ট বানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।’’
অনেকের মতে, শুভেন্দুবাবুর দুই দলে দুই ধরনের কথাকেই তৃণমূল জনসমক্ষে উপস্থাপন করছে চাইছে। আগে শুভেন্দুবাবু কী বলতেন, অন্য দিকে বিজেপিতে গিয়ে তিনি কী কী শব্দ মহিলাদের সম্পর্কে বলেছেন বা সাম্প্রদায়িক ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করেছেন।