kolkata

1 year ago

Kolkata East West Metro :ঐতিহাসিক মেট্রো সফরের প্রথম ‘মোটরম্যান’, প্রধানমন্ত্রীকে মাটির নীচে গঙ্গা পার করান দীপক

Kolkata East West Metro
Kolkata East West Metro

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের মধ্যে প্রথমবার মাটির তলা দিয়ে মেট্রো ছুটিয়ে 41 বছর আগে ইতিহাস গড়েছিল কলকাতা । আজ আবারও সেই কলকাতাই দেশে প্রথমবার হুগলি নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো চালিয়ে ইতিহাস রচনা করল । যা নিঃসন্দেহে পরিবহনের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব । বিশ্বমানের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মেট্রো । এর পাশাপাশি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রেকের ভেতরে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য, সবকিছুই বিশ্বের আর যেকোনও প্রথম সারির দেশের পরিষেবা ও প্রযুক্তিকে টেক্কা দিতে পারে । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যেই অংশটি হুগলি নদীর নিচ দিয়ে গিয়েছে সেই অংশটি আর কয়েকদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য চালু হয়ে যাবে ।

বুধবার উদ্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এমআর 614 রেক । আজ হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় 65 থেকে 70 কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো হয় । আজ নদীর নিচ দিয়ে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীকে সফর করিয়ে আপ্লুত মোটরম্যান দীপক কুমার । তাঁর কথায়, "অনেকদিন হল কলকাতা মেট্রোয় মোটরম্যান হিসেবে কর্মরত ৷ প্রধানমন্ত্রীকে চাপিয়ে মেট্রো চালানোয় স্নায়ুর উপর একটা বাড়তি চাপ তো ছিলই ৷ অন্যদিকে এত বড় দায়িত্ব । তবে সব মিলিয়ে আজকের এই অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্যরকম ৷ নর্থ-সাউথ মেট্রোর থেকে একেবারে অন্য অভিজ্ঞতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে ট্রেন চালানো ৷"

এই বিষয়ে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (সিবিটিসি) বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু জানা জানান, ট্রেন চালাবার বিষয়টি নর্থ-সাউথ করিডরের ক্ষেত্রে অনেকটা ব্যক্তি বা মোটরম্যান নির্ভর । অন্যদিকে এই রুট একেবারেই কম্পিউটারাইজড বা কম্যান্ড-ভিত্তিক । এখানে শুধুমাত্র ট্রেন চালু করা এবং বন্ধ করার বিষয়টি মোটরম্যানের উপরেই নির্ভর করে । পাশাপাশি যেদিন কখনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আচমকাই কম্যান্ড বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ট্রেনের পুরো ব্যবস্থা 'সেফ মোডে' চলে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে । আর যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হবে, ততক্ষণ বন্ধ থাকবে গাড়ি ।

যদিও এখনও জানা যায়নি কবে থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে আজ উদ্বোধন হওয়া শহরের তিনটি রুট । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রধান ইনভেস্টর জিকার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ সাইতো মিৎসুনোরি জানান যে, একাধিকবার ম্যাপ পরিবর্তন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অনেটাই বেড়েছে অর্থ । তবে এই ধরনের একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে জিকাও গর্বিত । এই প্রকল্প যে জাপান ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে তা বলাই বাহুল্য ।


You might also like!