দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকা থেকে কংগ্রেস সমর্থকদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তার এই অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন আগেই এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল, এবার একই সুরে রাহুলকে বিঁধল বিজেপিও।বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন, রাহুলের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই নাটক করছেন এবং আসলে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, শুধু ভোটার তালিকায় গোলমাল নয়, এবার বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থক, দলিত-আদিবাসী ভোটারদের ভোট মুছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ভোটার তালিকা থেকে। আর সেই কাজটা করা হচ্ছে সংগঠিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে। অথচ নির্বাচন কমিশন চুপ। উদাহরণ হিসাবে রাহুল কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রের কথা বলছেন। ওই কেন্দ্রের ৬০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। নির্বাচন কমিশন বলছে, ওই অভিযোগ পুরোপুরি ভ্রান্ত। এভাবে ভোট ডিলিট করা সম্ভবই নয়।
এ নিয়ে এবার রাহুলকে পালটা একাধিক প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর প্রশ্ন, “৬ হাজারের বেশি ভোট মুছে দেওয়ার যে অভিযোগ রাহুল করছেন, সেগুলি ডিলিট হয়েছে কী? হলে সেটার প্রমাণ কই। রাহুল বারবার শুধু অভিযোগ করছেন, কোনও প্রমাণ দিচ্ছেন না। নিজের অভিযোগ কমিশনে হলফনামা আকারেও দিচ্ছেন না। প্রমাণ যদি থেকে থাকে তাহলে আদালতেই বা যাচ্ছেন না কেন?” মজার কথা হল, যে কেন্দ্রে ভোটচুরির কথা কংগ্রেস নেতা বলছেন, সেই আলন্দ কেন্দ্র বিধায়ক নির্বাচনে জিতেছ কংগ্রেসই। অনুরাগের প্রশ্ন, তাহলে কি কংগ্রেসই চুরির ভোটে জিতল?
বিজেপি সাংসদ বলছেন, এই ভোটচুরির অভিযোগ আসলে দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা। অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার জন্য এবং ভোটার তালিকার সংশোধন রুখে দেওয়া। অনুরাগের প্রশ্ন, “অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করা আর তোষণ ছাড়া আর কোনও রাজনীতিই কি করতে পারে না কংগ্রেস?” লাগাতার কমিশনকে এই আক্রমণের নেপথ্যে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। সংবিধান এবং গণতন্ত্র বিরোধী রাহুল দেশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছেন।