দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এটা প্রথমবার করছেন না; বহুবার, এমনকি আদালত কক্ষে গিয়েও তিনি এই দাবি জানান। একইভাবে বৃহস্পতিবারও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। এদিন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। সিবিআইয়ের করা কোনও মামলায় এই প্রথমবার গঠন হল চার্জ। শীঘ্রই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।
এদিন আদালত কক্ষে চার্জ গঠনের শুনানি চলাকালীন মামলা থেকে অব্যাহতি চান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। ভার্চুয়ালিই আদালতে হাজিরা দেন তিনি। চোখে ছিল কালো চশমা। সূত্রের খবর, বুধবারই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখে অপারেশন করিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ভার্চুয়ালি শুনানিতে যোগ দিয়েই পার্থ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। তার আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দুর্নীতি দমন, ঘুষ নেওয়া, ষড়যন্ত্র-সহ যে অভিযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো নিজেই জানান বিচারক। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্যর, আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম। অভিযুক্তরা আমার বিভিন্ন শাসিত ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিল। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।” এরপরই বিচারক বলেন, “অশোক সাহাকে চেয়ারম্যান করেছিলেন। নিয়ম ভেঙে আরও একাধিক পদে নিয়োগ করেছিলেন। ভুয়ো নথিকে আসল হিসেবে দেখানো হয়েছে।”
এরপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমার সামাজিক সম্মান আছে। ২৫ বছর ধরে একটা অঞ্চল থেকে ৫ বার জিতেছি। এসএসসি নিজেই কাজ করেছে। আমাকে মুক্তি দিন, আমাকে সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে রেখে সুযোগ দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “আমি যাদের নিয়োগ করেছি বলা হচ্ছে, এসপি সিনহার নিয়োগ কর্তা আমি ছিলাম না। এসএসসি নিয়োগ করেছে। অশোক সাহা আগে থেকেই কাজ করতেন। সুবীরেশ মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই ওখানে চেয়ারম্যান ছিলেন। কল্যাণময় আমি আসার আগেই ওখানে ছিলেন। যারা অন্যায় করছে তাঁদের কিছু হচ্ছে না। আমার দোষটা কোথায়?” সবমিলিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি নির্দোষ। সবশেষে পার্থ অব্যহতির আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি।