দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: এবার স্বরা ভাস্করের স্বামী, রাজনীতিবিদ ফাহাদ আহমেদের কটাক্ষের শিকার হলেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউত। হঠাৎ কেন তিনি কঙ্গনাকে এভাবে আক্রমণ করলেন, তার নেপথ্যের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একসঙ্গে স্বরা ও ফাহাদকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তাঁরা কোন তারকার নামের আগে কী হ্যাশট্যাগ দেবেন? একে একে বিভিন্ন তারকার নামের পর যখন কঙ্গনার নাম আসে তখন রাজনীতিবিদ ফাহাদ বলে ওঠেন, “আমি ওঁর নামের আগে হ্যাশটাগ ব্যাড পলিটিশিয়ান জুড়তে চাই। কারণ কঙ্গনা তাঁর সংসদীয় এলাকায় কোনও কাজই করে না। হিমাচলে বন্যার সময় কঙ্গনা মান্ডির সাংসদ দায়িত্বই পালন করেননি।”
তবে এর সঙ্গে ফাহাদ আরও বলেন, “বন্যাবিধ্বস্ত মান্ডির সাধারণ মানুষ যখন প্রকৃতির রোষের কাছে নতিস্বীকার করছে তখন একবারও কঙ্গনা সেখানে গিয়ে তাদের পাশে দাড়ায়নি। বরং উলটে তিনি বলেছেন আমি কী করতে পারি? আমি কোনও মন্ত্রী নই। আমি একজন প্রতিনিধি মাত্র। এই বলেই হাত গুটিয়ে বসেছিলেন কঙ্গনা। তাঁর উচিত ছিল সেই বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের জন্যও সাহায্যের ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা।” ফাহাদের এই মন্তব্যে রীতিমতো চমকে যান স্বরা। তবে রাজনীতির ময়দানের কঙ্গনার সমালোচনায় মুখর হলেও এই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কঙ্গনার প্রশংসা করেন ফাহাদ। বলেন, “তবে যা বলতেই হয় কঙ্গনা অত্যন্ত ভালো একজন অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয়ের তুলনা হয় না।”এর আগে সাংসদ পদ প্রাপ্তির বছর ঘুরতে নে ঘুরতেই ধরা পড়েছিল কঙ্গনার মোহভঙ্গের বিষয়। এর আগে যা নিয়ে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, “আমি বেশ বুঝতে পারছি, রাজনীতি একেবারে অন্যরকম একটা কাজ। মূলত সমাজসেবা করা। একেবারেই বলব না, আমি এটা উপভোগ করছি। কারণ আমার রাজনৈতিক কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। অতীত অভিজ্ঞতাও নেই। তাই আমি কোনওদিন মানুষের সেবা করব বলে ভাবিওনি। নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়াজ তুলেছি। তবে সেটার সঙ্গে জনসাধারণের কাজ সামলানোর কোনও মিল নেই।” আচমকাই কঙ্গনার এই উপলব্ধি নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জন।