Entertainment

1 hour ago

Nana Patekar: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা নানা পাটেকর, রাজৌরি ও পুঞ্চে ৪২ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ!

Actor Nana Patekar
Actor Nana Patekar

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্প্রতি পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে বহু পরিবার চরম দুর্দশার মুখে পড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই, বহু বাড়িঘর ও জীবিকা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই কঠিন সময়ে সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ালেন বলিউড অভিনেতা ও সমাজসেবক নানা পাটেকর। তাঁর মানবিক উদ্যোগে ১১৭টি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে মোট ৪২ লক্ষ টাকার ত্রাণ ও সহায়তা। এই সাহায্য তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁর নিজস্ব সংস্থা নির্মলা গজনন ট্রাস্ট-এর মাধ্যমে। জম্মুর রাজৌরি গ্যারিসনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নানা পাটেকর স্বয়ং উপস্থিত থেকে এই সহায়তা হস্তান্তর করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই কর্মসূচিতে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেয়েছে অর্থসাহায্য, খাদ্যসামগ্রী, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও মানসিক সহায়তা। 

নানা পাটেকর সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “ওরা আমাদের ভাই, ওদের কষ্ট আমাদেরও কষ্ট। এই মানুষগুলো সীমান্তে থাকে, প্রতিদিন ভয় নিয়ে বাঁচে, আর যখন বিপদ আসে, তখনই সবাই চুপ করে যায়। আমি শুধু এটুকু বিশ্বাস করি— যতটা পারি, ততটাই পাশে দাঁড়ানো উচিত।” তিনি আরও বলেন, “সরকারের কাজ আছে, কিন্তু নাগরিক হিসেবে আমাদেরও একটা দায়িত্ব থাকে। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।” এই উদ্যোগে ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে। তাঁরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে এই ত্রাণ বন্টনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা আধিকারিকরাও জানিয়েছেন, নানা পাটেকরের এই ভূমিকা শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, মনোবল গড়ে তুলতেও বড় অবদান রাখবে। 


জানা গিয়েছে, এই ত্রাণ প্রকল্প শুধু এই মুহূর্তের সহায়তায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আগামী দিনে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর পুনর্নির্মাণ, শিক্ষা ও জীবিকাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মলা গজনন ট্রাস্ট এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনাও করছে। নানা পাটেকরের এমন মানবিক কাজে সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঠে এসেছে প্রশংসার ঝড়। অনেকেই লিখেছেন, “সিনেমার পর্দায় নায়ক, বাস্তব জীবনেও তাই।” কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, “এটাই সত্যিকারের দেশপ্রেম, যেখানে বিপদের সময় নিজের সম্পদ ও সময় দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো হয়।”

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল, শুধু সরকার বা প্রশাসন নয়— সমাজের দায়িত্ববান নাগরিকরাও চাইলে বড় রকমের পরিবর্তন আনতে পারেন। নানা পাটেকরের মতো একজন তারকা যখন এমন পদক্ষেপ নেন, তখন তা শুধু সাহায্য নয়, মানবতা এখনও বেঁচে আছে—এহেন বার্তাও বহন করে।

You might also like!