দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃশাহজাহান গ্রেফতারের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তিনি লেখেন, 'রাজ্য পুলিশ তো কাজ করল। এবার সিবিআই নারদ মামলায় CBI FIR NAMED শুভেন্দু অধিকারী এবং আলকেমিস্ট চিট ফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করুক। এবার মহিলা কুস্তিগীরদের সঙ্গে অসভ্যতার নায়ক ব্রিজভূষণ গ্রেফতার হোক। এবার দেশের ব্যাঙ্ক লুঠেরাদের ধরুক ইডি।'
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান। তৃণমূল মুখপাত্রের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইনের দুদিনের মধ্যে ‘খাঁচা বন্দি হল বাঘ’। তার পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) সরব হয়েছেন কুণাল। একদিকে শুভেন্দুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি তো অন্যদিকে এই গ্রেপ্তারির জন্য যেমন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সিবিআইকে খোঁচা দিয়ে কুণাল লিখেছেন, “রাজ্য পুলিশ তো কাজ করল। এবার সিবিআই নারদ মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী এবং অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করুক।”
অবশেষে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য়, মত কুণাল ঘোষের। তিনি লিখেছেন, “আদালতের বাধা ছিল, পুলিশ কাজ করতে পারেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে আদালত বাধা সরিয়েছে। পুলিশ যা করার করেছে।” প্রসঙ্গত, শাসকদলের দাবি করে আসছে, আদালতই হাত-পা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য পুলিশের। নাহলে আগেই গ্রেপ্তার করা হত তাঁকে। দাবির স্বপক্ষে আদালতের ৭ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনামার একটি অংশ প্রকাশ করে তারা। যেখানে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের তদন্তে ‘স্থগিতাদেশ’ জারি করেছিল আদালত। সেই রায়ের পরিবর্তন চেয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বৃহস্পতিবারই হাই কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে বাধা নেই। রাজ্য় পুলিশ, সিবিআই বা ইডি যে কেউ গ্রেপ্তার করতে পারে। এর পরই রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশ।