দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়েছে সন্দেশখালি। সেই সফরের মধ্যেই উত্তেজনা। শাহজাহান শেখের অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেয় শেখ সিরাজুদ্দিন। চাষের জমিতে রাতারাতি সামুদ্রিক নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে অনেককে। তাঁদের দাবি, সন্দেশখালি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে তাঁদের অত্যাচার করা হয়েছে। মূল অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামী তৈয়েব খান এলাকাবাসীর জমি দখল করেছিলেন। কিন্তু তার বদলে কোনও টাকাপয়সা দেননি। বরং টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার শাহজাহানের ভাইয়ের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটল। এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে তাঁদের ঘিরে আরও বেশি বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা।
দিন কয়েক আগেই শাহজাহানের ভাই সংবাদমাধ্যমের সামনে আক্ষেপ করেছিলেন, দাদা বেপাত্তা হওয়ার পর থেকেই পুলিশের তৎপরতায় স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে তাদের। সারাক্ষণ থাকতে হচ্ছে সিসিটিভির নজরদারিতে। বাড়িতে শান্তিতে খেতে ঘুমোতে পারছেন না তাঁরা। এবার তিনি এবং তাঁর অনুগামীর বিরুদ্ধেই এবার তেতে উঠল গ্রাম।
সন্দেশখালিতে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তো আছেই। গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি একই অভিযোগ তুলেছেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল নেতারাও। তাঁদের দাবি, ক্ষমতায় এসেই প্রথমে দীর্ঘদিনের পুরনো তৃণমূল নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয় শেখ শাহজাহানের শাগরেদরা। তারপরেই শুরু হয় অত্যাচার। অভিযোগ, পারিশ্রমিক চাইতে গেলেই মারধর করত তারা। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করত। প্রশাসনকে জানাতে গেলে বিপদ আরও বাড়ত। দলবল নিয়ে এসে মারধর করে যেত। ভয়ে তাদরে বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারত না। বর্তমানে একযোগে সবার ক্ষোভ যেন বেরিয়ে আসছে।