দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতিত্ব দিলেন কুণাল ঘোষ।তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বেই আদালতের বাধা সরেছে। এতদিন আদালতের রায়ের একটি অংশের জন্যই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। হাত-পা বাঁধা ছিল পুলিশের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে সেই বাধা সরিয়েছে আদালত। আর তারপরই পুলিশ নিজের কাজ করেছে।
সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “রাজ্য পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন হাইকোর্টের রায়ের একটি অংশের জন্যই পুলিশের হাত-পা বাধা হয়ে গেছে। সেই কারণে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারছে না। অভিষেক দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর মহামান্য আদালত সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে এবং পুলিশকে কাজ করার ছাড়পত্র দেয়। পুলিশের কাজের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। আশা করেছিলাম পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তার কাজ করবে। সেটাই হয়েছে। পুলিশ তার কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছে।”
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষই কিছুদিন আগে বলেছিলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান। দলের ডেটলাইনের পাঁচ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন শাহজাহান। কুণালের দাবি, “তৃণমূল রাজধর্ম পালন করেছে।”
কুণালের আরও বক্তব্য, পুলিশ তো তার কর্তব্য করল, এবার সিবিআই তার কাজ করে দেখাক। বিজেপিকে নিশানা করে কুণাল বলেন, “নারদ মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআর-নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী এবং অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করুক। দেশের ব্যাঙ্কগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা লুঠ করে যারা ফেরার হয়েছে, সেই ব্যাঙ্ক লুটেরাদের গ্রেফতার করে আনুক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে দল চলছে। রাজ্য পুলিশ কাজ করে দেখিয়েছে। এবার সিবিআই, ইডি কী করে সেটা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।”