দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি চিঠি পাঠালেন কার্তিক মহারাজ! মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তাঁর ‘মানহানি’ হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে মানহানি হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কার্তিক মহারাজ। তাঁর দাবি, "মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। সম্মানহানির চেষ্টায় তিনি অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন।" আগামী চার দিনের মধ্যে মমতার কাছ থেকে তাঁর 'বিতর্কিত' মন্তব্যের জবাব চাওয়া হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এমনই দাবি কার্তিক মহারাজের। কার্তিক মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। সম্মানহানির চেষ্টায় তিনি ‘অসত্য’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ওই সন্ন্যাসী। ওই আইনি চিঠিতে আগামী চার দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বক্তব্যের জন্য জবাব চাওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডেল ওই চিঠিটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্তিক মহারাজের আইনি নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্তকে সাহসী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরামবাগের গোঘাটের ভাষণকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সূত্রপাত। তৃণমূল নেত্রী তাঁর বক্তৃতায় বাংলার সাধু সমাজের একাংশের উদ্দেশে তোপ দেগে বসেন। ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ এমনকি রামকৃষ্ণ মিশনকেও বাদ দেননি তিনি।
মমতা বলেন, “সব সজ্জন সমান হয় না। সব সাধুও নয়। আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি আইডেনটিফাই করেছি বলেই বলছি।" কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে সেই সভামঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি ভারত সেবাশ্রম সংঘকে অনেক সম্মান করতাম কিন্তু যে লোকটা তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেন না তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না।"
বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতার সন্ন্যাসীদের সঙ্গে রাজনীতির যোগের অভিযোগের মন্তব্যকে লুফে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার পুরুলিয়ায় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইস্কন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দিচ্ছেন। গোটা দুনিয়ায় তাঁদের ভক্তরা রয়েছেন। তাঁরা সেবার কাজ করে চলেছেন। কিন্তু বাংলার সরকার তাঁদের দিকে আঙুল তুলছে। তাদের নাম নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এত সাহস!” মোদীর কথায়, “নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে তৃণমূলের তোষণের রাজনীতিতে এত নিচে নেমে গেছে।"
এদিক এই টানাপোড়েনের মাঝে রবিবার রাতে কার্তিক মহারাজ দাবি করেন, শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলের তরফেও তাঁকে এই নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এরপর সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠালেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান স্বামী প্রদীপ্তানন্দ।