দুর্গাপুর, ৪ মার্চ : সেইল-এর কারখানায় দুর্ঘটনা। ফের গলিত লোহা পড়ে ঝলসে মৃত্যু হল শ্রমিকের। রবিবার রাতে দুর্গাপুরে সেইলের অধীনস্থ দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানায় রাতের কাজ করতে এসেছিলেন এএসপি কারখানার এসএমএস বিভাগের স্থায়ী কর্মী ঋষিরাজ দাস। আচমকাই হট মেটাল ছিটকে যাওয়ায় দগ্ধ হন তিনি।
জানা যাচ্ছে, ল্যাডেলে করে হট মেটাল নিয়ে যাওয়ার সময়ে সেই ল্যাডেল আচমকা কাত হয়ে পড়ে যায়। ল্যাডেল থেকে গরম, গলিত লোহা পড়ে ঋষিরাজের উপরে। কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা করেও বাঁচানো যায়নি বছর পঁয়তাল্লিশের ঋষিরাজকে। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মাত্র কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (ডিএসপি) উত্তপ্ত গলিত তরল লোহা ছলকে পড়ার কারণে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁদের।
ডিএসপি-র দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের দেখতে রবিবার হাসপাতালে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সিটু-সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা চিফ জেনারেল ম্যানেজার (নগর পরিষেবা) বিকাশ মানবাটি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিকাশবাবুর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন।