দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি রান্নাঘরে শাকের কোনও কমতি নেই। পালং শাক, কলমি শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, সর্ষে শাক, পাট শাক কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন। কলমি শাক মূলত ভাজা খাওয়া হয়। গরমের দুপুরে জল ঢালা ভাতের সঙ্গে কলমি শাকের ভাজা জমে ওঠে। বিশেষজ্ঞের মতে, কলমি শাকে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন, প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলমি শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ও অন্যান্য জরুরি কিছু উপাদান। যে কারণে এই শাক খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
কলমি শাকের পুষ্টি তা অনেক পরিচিত শাকের থেকে অনেকটা বেশি৷ পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত কলমি শাক খেলে অনেক উপকার হতে পারে। কলমি শাকের রস সব থেকে উপকারি। তবে শাকের রস যদি একান্তই খেতে না পারেন, তা হলে অবশ্যই এটি দিয়ে বড়া তৈরি করে খেতে পারেন৷ ভাজা খাওয়াতেও রয়েছে বিপুল উপকার৷ কলমি শাক মূলত বেগুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন কুচি এবং লঙ্কা ফোঁড়ন, পাঁচ ফোঁড়ন, নুন, সাদা তেল ও হলুদ গুঁড়ো সহকারে রান্না করতে হয়। কলমি শাক এমন এক জিনিস, যা অনেকের হেঁসেলেই থাকে। পুকুর, জলাশয়ের পাশে ঝোপঝাড়ের মতো এই শাক কেউ কেউ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এতেই আছে পুষ্টির সম্ভার।