West Bengal

3 hours ago

Bardhaman News: পুজোর মুখে কলকাতায় ঢুকছিল ৭২ লক্ষ টাকা! কড়া তদন্তে বর্ধমান পুলিশ, সতর্ক প্রশাসন

Recovered money
Recovered money

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:  পুজোর মুখে কলকাতায় ঢুকছিল বিপুল অঙ্কের টাকা! বিহারের ভাগলপুর থেকে কলকাতাগামী এক যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করল বর্ধমান পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বাসে গোপন সূত্রের খবর পেয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বাসের ভিতর থেকে দুটি ব্যাগে মোট ৭২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ঘটনার পেছনে রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।  বর্ধমানের পালসিট টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী ওই বাসটি থামানো হয় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। পালসিট টোলপ্লাজায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ বাসে হানা দেয়। বাসটি বিহারের ভাগলপুর থেকে কলকাতা যাচ্ছিল এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে চলছিল। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসের ভিতর তল্লাশি চালায়। বাস থেকে দুটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যেগুলো খুলতেই বেরিয়ে আসে বিপুল অঙ্কের টাকা।

বর্ধমান পুলিশের তরফ থেকে টাকা গোনার মেশিন দিয়ে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা গোনা হয়। দেখা যায় মোট ৭২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রত্যেকটি নোটই ছিল ৫০০ টাকার। পুজোর মুখে এত বিপুল পরিমাণ টাকা কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কার কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল ওই টাকা? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।  ঘটনার পরপরই বাসের দুই চালক, খালাসি এবং একজন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে নবীনকুমার সিং ও বাবলু দাস বাসের চালক, কৃষ্ণ দাস খালাসি এবং শম্ভুনাথ বার্মা নামে এক যাত্রী। ধৃতদের বাড়ি বিহারের ভাগলপুর ও বাঁকা জেলায়। ধৃতদের কাছ থেকে আরও তথ্য বের করতে পুলিশ জেরা শুরু করেছে। তাদেরকে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। 

ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ধমানের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "এ ধরনের ঘটনা পুজোর আগে নিরাপত্তার প্রশ্নে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আমরা আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখছি। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত এখন মূলত এই বিষয়গুলোর দিকেই কেন্দ্রীভূত।" পুলিশের অনুমান, পুজোর সময়ে এই টাকা কোনো অবৈধ কাজে ব্যবহারের জন্যই আনা হচ্ছিল। যদিও এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জেরা করে টাকার উৎস ও উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে টাকার সঙ্গে থাকা বৈধ নথিপত্র।

পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্তমানে উদ্ধার হওয়া টাকার আইনি বৈধতা যাচাই করা হচ্ছে। এই টাকা যদি সত্যিই অবৈধ লেনদেনের অংশ হয়, তবে তা একটি বড় আর্থিক অপরাধের দিকেই ইঙ্গিত করে। সেই কারণে পুরো ঘটনার তদন্তে কোনও রকম শিথিলতা রাখা হচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে, এবং সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। জেরা শেষে উপযুক্ত তথ্য মিললে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে। পুজোর সময় যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

You might also like!