দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। নতুন পোশাক, সাজগোজের পাশাপাশি নিজেকে আরও ফিট আর আকর্ষণীয় করে তোলার তাগিদ অনেকেরই। অনেকেই এখন ব্যস্ত শরীরচর্চা ও ডায়েট প্ল্যানে। কিন্তু সময় কম, তাই কেউ কেউ শর্টকাট বেছে নিচ্ছেন—খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে রোগা হওয়ার চেষ্টা করছেন। মনে করছেন, না খেয়ে থাকলেই সহজে ঝরবে মেদ, আর কষ্টকর ব্যায়াম বা কঠিন ডায়েট প্ল্যানের প্রয়োজন হবে না। তবে চিকিৎসকরা এই ‘দ্রুত রোগা হওয়ার’ প্রবণতাকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে তা শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে কী কী ঘটতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
• পিত্তথলিতে পাথর: রোগা হওয়ার জন্য খাবার খাওয়া বন্ধ করেছেন? ভালো কথা। কিন্তু শরীর নিয়মমতো খাবার হজমের উৎসেচক ক্ষরণ করে চলেছে। সে তো আর আপনার মতো থেমে থাকবে না। ফলে পাকস্থলীতে জমতে থাকে অতিরিক্ত উৎসেচক। ঠিক একারণে পিত্তথলিতে পাথর দেখা দেয়।
• অম্বল ও গ্যাস্ট্রিক: দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে পেটে অ্যাসিড তৈরি হতে পারে, যার ফলে অম্বল এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• পুষ্টির ঘাটতি: ওজন কমাতে খাবার খাওয়া বন্ধ করলেই বিপদে পড়বেন। কারণ শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে শুরু করবে। শরীরের শক্তি হ্রাসের ফলে প্রচণ্ড ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেবে। এমনকী পুষ্টির ঘাটতিতে মাথাধরা, বদহজম, ক্লান্তি, গা-বমি ভাব প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
• লো-প্রেশার: রোগা হতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া ছাড়লে হঠাৎ করে প্রেশার ফল করতে পারে। খালি পেটে থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তের ঘনত্ব কমে রক্তচাপ কমে যায়। এই অবস্থাকে হাইপোটেনশন বলা হয়। এই অবস্থায় অজ্ঞান হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
∆ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, যদি ওজন কমাতেই চান, তাহলে তা হোক বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে। যেমন:
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে হালকা ও সুষম আহার;
• পর্যাপ্ত জলপান;
• দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা;
• চিনি, ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা;
• পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।