দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ভোটচুরির অভিযোগ খারিজ করে দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি কড়া আক্রমণ শানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এর পরেই জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার বিষয়ে ভাবনা শুরু করেছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলার কয়েক দিনের মধ্যেই এই পদক্ষেপে উদ্যোগী হচ্ছে বিরোধীরা।
সংবিধানের ৩২৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সরানো যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো একই প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস করাতে হয়। অর্থাৎ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ইমপিচ করতে হলে সংসদের দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। যদিও সেই সংখ্যা বিরোধীদের নেই। কংগ্রেস নেতা ইমরান প্রতাপগড়ী বলেন,”আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে নাম না করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে কার্যত তুলোধোনা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এদিন জ্ঞানেশ কুমার দাবি করেন, “কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণকে নিশানা করে রাজনীতি চলছে। সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে মিথ্যাকে সত্যি করা যাবে না।” জ্ঞানেশ কুমার কংগ্রেসের নেতার উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলে দেন, “রাহুল গান্ধী যে সব অভিযোগ করেছেন, ৭ দিনের মধ্যে সেগুলির প্রমাণ-সহ হলফনামা দিতে হবে। নাহলে দেশবাসীর উদ্দেশে ক্ষমা চাইতে হবে।”
লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও হরিয়ানায় ভোট চুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, কমিশন ভোটারের তথ্য নিয়ে কারচুপি করেছে। এর মাধ্যমে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ আগস্ট রাহুল গান্ধী দাবি করেন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১,০০,২৫০ ভোট চুরি হয়েছে। এই ভোটেই বিজেপি লোকসভা আসনে জিতেছে। তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচন কমিশন শাসক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।