দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :শ্রাবণের শেষ সোমবারের আগের রাতে থেকে শিবমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। বহু দূর থেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে শিবভক্তরা মন্দিরের পথ ধরেন। রবিবার রাতে সেই ক্লান্ত ভক্তদের পায়ের ব্যথা কমাতে Volini স্প্রে দিয়ে আর কারও হাতে ঠান্ডা পানীয় তুলে দিতে দেখা যায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় জোর চর্চা, কোথায় যেন এবার জীবসেবার আড়ালে শিবসেবায় মগ্ন অনুব্রত—এই ধরনের গুঞ্জনও উঠতে শুরু করেছে।
অনুব্রত মণ্ডল পুজো-অর্চনায় বিশ্বাসী। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত কালী রয়েছে তাঁর। সকালে ঠাকুরকে পুজো না দিয়ে তিনি জলস্পর্শও করেন না। সেই অনুব্রতকে রবিবার দেখা গেল শিবকে জল ঢালতে যাওয়া ভক্তদের পায়ে ব্যথা উপশমের ওষুধ স্প্রে করতে।রবিবার রাতে বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছে। সেখানে বাঁধা হয় প্যান্ডেল। বসানো হয় শিবের মূর্তি। আলোর ঝলকানি চারিদিকে। তারই সামনের রাস্তা দিয়ে পুণ্যার্থীরা কাঁধে বাঁক নিয়ে জল ঢালতে যাচ্ছিলেন। আর রাস্তার ধারে চেয়ার পেতে বসেছিলেন কেষ্ট।
শ্রাবণ মাসে শিবভক্তরা বিভিন্ন নদী থেকে জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢালতে যান। সেই ছবি বীরভূমেও। কঙ্কালীতলা অথবা কাটোয়ার গঙ্গা থেকে জল নিয়ে বোলপুরের শিবতলা শিব মন্দিরে যান পুণ্যার্থীরা।রবিবার বোলপুর দিয়ে যাঁরা বাঁক নিয়ে যাচ্ছিলেন, পায়ে Volini (মাসেল পেন কমানোর ওষুধ) স্প্রে করে দিচ্ছিলেন অনুব্রত। হাতে তুলে দিচ্ছিলেন জলের বোতল, ফলের রস, লুচি, তরকারি, বোঁদে। অন্যদিকে চন্দ্রনাথ সিনহা, কাজল শেখকেও এ দিন দেখা গিয়েছে জনসেবায়।