বীরভূম, ৩১ মে : এত্তেলায় সাড়া দিয়ে শনিবার প্রথমার্ধে থানায় যাননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে সূত্রের খবর, বোলপুর এসডিপিও অফিসে গিয়েছেন তাঁর ৭ আইনজীবী। সূত্রের খবর, সোমবার সিউড়ি মহকুমা আদালত কিংবা কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। বেলা ১১টার মধ্যে বোলপুরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও)-এর অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি সেখানে যাননি। তার বদলে পাঠান তাঁর সাত আইনজীবীকে। এসডিপিও অফিস থেকে বেরনোর সময় এক আইনজীবী বলেন, “অন্য বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলাম।” আবার আরও এক আইনজীবীর দাবি, “এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ।”
বীরভূমের তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দু’জনের কথোপকথনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় শোরগোল। শুক্রবার পুলিশ সেই অডিওর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ২টি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবার থানায় তলব করা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কড়া বার্তা পাঠায়, ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজও করা হতে পারে। এরপর আর একটুও সময় নষ্ট করেননি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল।