দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের পর, এবার বড়সড় ধাক্কার মুখে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য। সূত্রের খবর, মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন শীঘ্রই ভারত থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করতে চলেছে। একই পথে হাঁটার ভাবনাচিন্তা করছে ওয়ালমার্ট, টার্গেট ও গ্যাপ-এর মতো অন্যান্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাও। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ভারতের উপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। তাঁর কথায়, রাশিয়া থেকে ভারত এখনও তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার শাস্তিস্বরূপ বাড়তি কর বসানো হল ভারতীয় পণ্যের উপর। অর্থাৎ এবার ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। এক্সিকিউটিভ অর্ডার সই করে ট্রাম্প জানান, ২১ দিন পর থেকে কার্যকর হবে ভারতের নয়া শুল্কহার।সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়, ‘প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারত বর্তমানে রুশ তেল আমদানি করছে। তাই আমার মনে হয় ভারতের উপর আরও বেশি শুল্ক চাপানো দরকার।’
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ই-কমার্স সংস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত থেকে বস্ত্র আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন বাজারে ক্রমাগত বাড়তে থাকা খরচ এবং শুল্কের বোঝা বহন করতে অনীহা দেখাচ্ছেন আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীদের মতে, এত চড়া শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি আর লাভজনক থাকছে না। তাছাড়া, এই অতিরিক্ত খরচ মার্কিন ক্রেতাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক দামের সুবিধা হারিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য মহলের আশঙ্কা, আমেরিকায় রপ্তানি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও বিদেশি আয়ের উপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। উল্লেখ্য, ভারত আমেরিকার অন্যতম বড় বস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর তা নিয়ে ফের একবার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপড়েন প্রকাশ্যে এল।
তবে, এখনো পর্যন্ত অ্যামাজন বা অন্যান্য সংস্থা ভারত থেকে অর্ডার বন্ধ করা নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।