দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে SIR বিতর্কের আবহে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দুই নির্বাচন অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দমদম বিমানবন্দরে কমিশনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
দিল্লিতে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন,“আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশন চালায়। যাতে নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। এক-দেড় বছর আগে থেকে এসব কী হচ্ছে? সরকারকে কাজ করতে না দিয়ে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা। প্রকৃত ভোটার যাতে ভোট দিতে না পারে, ভোটাধিকার কাড়তে নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করছে কমিশন। তারা রাজ্য সরকারকে জানাতে পারে। কারও নাম কাটতে পারে না। কারণ, ২০২১ সালে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিয়ে এসেছে। কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা কেন্দ্র সরকারের প্রতি নয়। আমার সাধারণ মানুষের কাছে উত্তর দিতে বাধ্য।” কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আরও একবার বঞ্চনা ইস্যুতেও সুর চড়ান অভিষেক। বলেন, “কেন্দ্র সরকার আগে ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দিত না। জলজীবন মিশনের টাকাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে।”
এদিন অভিষেক সন্দেশখালি এবং আর জি কর ইস্যুতেও সুর চড়ান। সিবিআই তদন্তের পরেও কেন আর জি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও অভিযুক্তের নাম সামনে এল না, সে প্রশ্নও করেন। অভিষেকের কথায়, “আমরা বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি। কিন্তু কেন্দ্র প্রভাব খাটিয়ে সিবিআই তদন্তের নামে যেভাবে তৃণমূলকে হেনস্তা করছে, তাতে মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে।” বলে রাখা ভালো, আর জি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা এখন সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেছেন আন্দোলনকারীরাও।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার SIR বিতর্ক ঘিরে কমিশনের পদক্ষেপে তৃণমূল যে আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান নিতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক।