দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি আর ধন-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা চিরকালীন। বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরে রাখা কিছু বিশেষ প্রতিমা ও প্রতীক শুধু মানসিক প্রশান্তিই আনে না, বরং আর্থিক উন্নতির পথও খুলে দেয়। ঘরে যখন ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটে, তখন দূর হয় অর্থকষ্ট এবং জীবনে আসে সমৃদ্ধি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কোন পাঁচটি মূর্তি ঘরে রাখলে কখনও টাকার টান পড়বে না।বাস্তুশাস্ত্রে হাতি শক্তি, বুদ্ধি, খ্যাতি এবং সম্পদের প্রতীক। বিশেষ করে পিতল, তামা বা রূপার হাতির মূর্তি ঘরে রাখলে পরিবারে আর্থিক সমৃদ্ধি আসে। বিশ্বাস করা হয়, হাতির মূর্তি ঘরে রাখলে ব্যবসার প্রসার ঘটে, নতুন আয়ের পথ খুলে যায় এবং পরিবারের মধ্যে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
কচ্ছপকে বাস্তুশাস্ত্রে দীর্ঘায়ু, সম্পদ এবং ধৈর্যের প্রতীক ধরা হয়। বাড়ি বা অফিসে কচ্ছপের মূর্তি রাখলে ব্যবসায় সাফল্য আসে এবং পরিবারে স্থায়ী সম্পদ বৃদ্ধি পায়। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহ বাড়ায়।
কামধেনু গোরু বাস্তুশাস্ত্রে সমৃদ্ধি এবং আশীর্বাদের প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, ঘরে কামধেনুর মূর্তি রাখলে কখনও খাদ্য বা অর্থের অভাব হয় না। এটি সুখ-শান্তি বজায় রাখে এবং জীবনে উন্নতির সুযোগ বাড়ায়।
পিরামিড
বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরে পিরামিড রাখা অত্যন্ত শুভ। বিশেষ করে স্ফটিক বা ধাতব পিরামিড নেতিবাচক শক্তি দূর করে আর্থিক অবস্থাকে মজবুত করে। যাঁরা নতুন বাড়ি বা জমি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্যও বাড়িতে পিরামিড রাখা বিশেষ উপকারী।
পেঁচার মূর্তি
হিন্দু বিশ্বাস মতে, পেঁচা হলেন দেবী লক্ষ্মীর বাহন। তাই ঘরে পেঁচার মূর্তি রাখলে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ হয়। বিশ্বাস করা হয়, পেঁচার প্রতিমা ঘরে রাখলে অর্থ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সম্পত্তি কেনার সম্ভাবনাও বাড়ে।
ঘরে প্রতিমা রাখার সময় সতর্কতা
ঘরে প্রতিমা রাখার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন, ভাঙা মূর্তি বা প্রতিমা যেন না থাকে। মূর্তি যেন সবসময় পরিষ্কার এবং নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে। দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব কোণকে প্রতিমা রাখার জন্য শুভ ধরা হয়। নিয়মিত ধূপ-দীপ জ্বালানো এবং প্রার্থনা করলে প্রতিমার ক্ষমতা আরও বাড়ে বলেই ধরে নেওয়া হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে সঠিক প্রতিমা রাখা কেবল ইতিবাচক শক্তিই সঞ্চার করে না, বরং অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগও এনে দেয়। তবে মনে রাখবেন, এগুলো বিশ্বাস আসলে ঐতিহ্যের অংশ। জীবনে সমৃদ্ধি পেতে কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং ইতিবাচক মানসিকতার কোনও বিকল্প নেই।