দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুরে মাটি চাপা পড়ে ৪ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে বিএসএফকে দায়ী করল তৃণমূল। শিশুমৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেইমতো জরুরি ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে, রাজ্যপাল এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই। সোমবারই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পরিস্থিতি পরিদর্শন করেই তিনি উড়ে গিয়েছেন দিল্লিতে। এদিকে, আজ চোপড়ার দাসপাড়া ব্লকে বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজপালের কাছে চোপড়ায় যাওয়ার আবেদন জানাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের শাসকদলের প্রশ্ন, অশান্তির অভিযোগে রাজ্যপাল যদি সন্দেশখালি যেতে পারেন, তা হলে বিএসএফের গাফিলতিতে চারটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সিভি আনন্দ বোস কেন চোপড়া পরিদর্শনে যাবেন না? রাজভবন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগাছ এলাকায় একটি নর্দমা কাটছিল বিএসএফ। সেখানেই খেলা করছিল শিশুরা। আচমকাই ধস নেমে দুর্ঘটনা ঘটে। মাটির নীচে চাপা পড়ে চার শিশু। বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের উদ্ধার করে চোপড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই চার শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে বিএসএফের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যপালের কাছেও বিএসএফের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হবে। তাঁকে চোপড়া যেতেও আবেদন জানাবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছে শাসকদলের তরফে। ঠিক হয়েছে, চন্দ্রিমা, ফিরহাদ, ব্রাত্যের পাশাপাশি সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ-সহ মোট ১২ জনের প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করবেন।
একই সঙ্গে চোপড়াতেও অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানহাইয়া অগ্রবাল বলেন, ‘‘চেতনাগাছে ধর্না, অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। আমি যাচ্ছি। শিশুদের মাটি দেওয়ার কাজ শেষ হলে আমরা অবস্থান বিক্ষোভ করব। গোটা জেলাতেই কর্মসূচি আছে।’’
সোমবারই ঘটনার পর চন্দ্রিমা বলেছিলেন, ‘‘বিএসএফের লোকেরা দেখতে পেলেন না, চারটে বাচ্চা খেলতে খেলতে পড়ে গেল!’’ তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, মঙ্গলবার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ হবে। চোপড়ায় প্রতিবাদের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।