দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের বান্ধবীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এক ব্যাক্তি। মামলা চলছিল আদালতে। ওই মামলায় এবার অভিযুক্ত ব্যাক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করলো মহামান্য আদালত। শুক্রবার জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
ন্যক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ৪ অক্টোবর। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তার নিজের নাবালিকা কন্যা আছে বাড়িতে। মেয়ের এক নাবালিকা বান্ধবী বিভিন্ন সময় ওই বাড়িতে যেত বলে খবর। সেই সূত্রে ওই নাবালিকার সঙ্গে ব্যক্তির পরিচয়ও ছিল। ৪ অক্টোবর নাবালিকাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের বাড়িতে ডেকেছিল ওই ব্যক্তি। বিশ্বাস করে নাবালিকা ওই বাড়িতে যায়। সেইসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু বললে ফল খারাপ হবে। সেই ভয়ও দেখানো হয়েছিল! ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে কিছু জানাতে পারেনি ওই নাবালিকা।
সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতা বাড়িতে ঘটনার কথা জানায়। পরিবারের লোকজন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ দ্রুত তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল। পকসো আইনে শুরু হয় মামলা। ন’জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে দোষী প্রমাণিত হয়েছে ওই ব্যক্তি। এদিন বিচারক দোষীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। নাবালিকার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য বিচারক ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন, জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দও।