দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়িতেই পিছন থেকে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তিনি। এসএসকেএম-এর তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় গভীরভাবে কেটে গিয়ে গল গল করে রক্ত বেরোতে থাকে। নাকেও কেটে যায়। ফলে পড়েছে একাধিক সেলাই। এই ঘটনার পরই তাঁর বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে সূত্রের খবর। এর মাথায় রয়েছেন স্বয়ং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আছেন গোয়েন্দা প্রথান ওয়াকার রাজা-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সায়েন্টিফিক উইং, ফরেন্সিক উইং, ফটোগ্রাফি সেকশনকেও যোগ করা হয়েছে এই সিটে ৷ হতে পারে থ্রি-ডি ক্যমেরার ব্যবহারও।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন, তাঁকে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা দিয়েছিল ৷ সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখতে চায় পুলিশ ৷ তবে পুলিশ সূত্রে খবর, যে সময়ের ঘটনা তখন বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সবসময় দেখভাল করার জন্য যে থাকেন, তিনিই প্রথম দেখতে পান ৷ আজ শুক্রবার সকালেই এই বিষয়ে তদন্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাবেন সিটে'র তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথমে বাড়ির সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হবে।
একই সঙ্গে, এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে তদন্ত করে দেখার জন্যই এই বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। সবদিক খতিয়ে দেখবে সিটের সদস্যরা। এই মুহূর্তে যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করে সবদিক খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়ে স্থানীয় কালীঘাট থানা ও লালবাজার যৌথভাবে তদন্ত করবে।
এর আগেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দেওয়ার মতো অভিযোগ এসএসকেএম হাসপাতালের তরফ থেকে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীকে রক্তান্ত অবস্থায় আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মাথার সিটি স্ক্যান হয়। পাশাপাশি সেলাইও পড়েছে তাঁর কপালে। এছাড়াও পরে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে পিছন থেকে ধাক্কা মারা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সর গাফিলতি ছিল কি না। এর সঙ্গেই, একজন জেড-প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া ব্যক্তির বাড়িতে কেন প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার বন্দোবস্ত ছিল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷