kolkata

1 year ago

Sagarer Bhater Hotel: টেকনোলজির দৌলতে কতটা 'বড়' হল সাগরের হোটেল?

Sagorer Bhater Hotel (File Picture)
Sagorer Bhater Hotel (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরম ভাত, ডাল, মাছের ঝোল রান্না শুরু হয়ে যায় সেই ভোর থেকেই। দুমুঠো পেট পুড়ে খান অফিসযাত্রীরা। ভাই-বোনের সংসার নির্ভর করে হোটেল চালিয়ে যেটুকু রোজগার হয় তাতে। ১৯ বছরের সাগরের কাঁধে পাহাড় প্রমাণ দায়িত্ব। সেখানে এখন ইউটিউবার, সংবাদ মাধ্যমের ভিড়। ক্যামেরার ঝলকানির মাঝেও কখনও পরিবেশন, কখনও বাসন মাজা আবার ফুটন্ত তরকারিতে খুন্তি চালানো – বিরাম নেই তাঁর। ভাইরাল হওয়ার চক্করে কাস্টমারের আনাগোনা কি বাড়ল তাঁর দোকানে?

ফুড ব্লগিংয়ের দৌলতে রাস্তার আনাচে কানাচে ছোটখাটো পাইস হোটেলের হেঁসেলে খবর এখন মানুষের মুঠোফোনে ঘুরে বেড়ায়। সেরকমভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সাগরের গল্প। রাসবিহারি থেকে গড়িয়াহাট যাওয়ার পথে এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনেই হোটেল চালায় সাগর। রুজিরুটির টানে ভাতের হোটেল চালানোর উদাহরণ কম নেই তিলোত্তমায়। তবে, সাগরের লড়াইটা আরও কিছুটা কঠিন ছিল। কিশোর বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়ে ছোট বোনকে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়ে সাগর।

দিনভর হাড় ভাঙা খাটুনির পরেও সর্বদা হাসির ঝলক লেগে থাকে সাগরের মুখে। হাসিটা বোধহয় চওড়া হয়েছে শেষ কিছুদিনের মধ্যে। বাংলার প্রথম সারির প্রায় সমস্ত ফুড ব্লগিং চ্যানেল ক্যামেরা, বুম হাতে হাজির হয়েছিল তার দোকানে। ধোঁয়া ওঠা ভাত, ডাল,‌ আলু চোখার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক কিশোরের হার না মানা জেদের লড়াই। বাঁশের ঠেকো দেওয়া প্লাস্টিকের ছাউনির নিচে জন্ম নিয়েছে জীবন সংগ্রামের সত্য। মানুষের ভালোবাসাতেই কিছুটা উপার্জন বেশিই হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে।

সাগর বলল, ‘এখনও তিনটে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত দোকান চালু রাখছি। তবে আগে যে পরিমাণ রান্না হতো, সেই তুলনায় আয়োজনের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। আপনাদের দৌলতে এখন অনেক দূরের মানুষ আমার কথা জেনেছেন। আশেপাশের অফিসের কর্মীরা ছাড়াও অনেকেই খেতে আসছেন আমার হোটেলে।’ সাংবাদিক যখন মুখের সামনে বুম ধরেছেন তখন এতটুকু ফুরসৎ নেই দাঁড়িয়ে কথা বলার। তার মধ্যে হাসিমুখে সাগর জানাল, ‘এত লোক আমার কথা শুনেছে, ভালো তো লাগেই।’

তবে, ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা কি ক্ষতি করতে পারে তাঁর ব্যবসায়। সাগরের উত্তর, ‘আমি মাথার মধ্যে ওই ভাইরাল ব্যাপারটা ঢোকাই না। পরে কি হবে জানি না! তবে মানুষ আমায় যেভাবে ভালোবেসেছে, তাতে আমি খুবই খুশি। আমাকে তো হোটেল চালিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। কাজটা মন দিয়ে করে যাব।’ কাজের মধ্যে দিয়েই তো বেঁচে থাকার লড়াই, সেটাই কোনও খামতি নেই। বলতে বলতেই পেছন থেকে এক কাস্টমার বললেন, ‘ভাই, আরেকটু ভাত দিবি?’ মুখ ঘুরিয়েই সাগর ছুটল পরিবেশনে। পথচলা যে অনেকটা বাকি!

You might also like!