দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ নিয়েই তিনি সন্দেশখালি ঢুকবেন এমনটাই গতকাল জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও মাত্র চারজনকে কেন ঢুকতে দেওয়া হল না, সেই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
সন্দেশখালিতে যেতে ফের তাকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর সন্দেশখালির উদ্দেশে বাসে করে রওনা হন শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি এবং প্রতিমা মণ্ডল। বাসে করে যাওয়ার পথে রাস্তায় আটকানো হয় তাঁদের।
সন্দেশখালি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরবেরিয়ার কাছেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ বচসা চলার পর রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্বরা। পুলিশের দাবি ছিল, শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি প্রবেশ করলে প্রচুর লোকের জমায়েত হতে পারে। তাতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, সেই কারণেই তাঁকে যেতে দেওয়া যাবে না। পালটা, বিজেপির যুক্তি ছিল, তাঁরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করছেন না। মাত্র চারজন সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে চাইছেন। এর আগে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনের সদস্য, এসসি এসটি কমিশনের সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হলেও তাঁদের কেন বাধা দেওয়া হবে?
১৪৪ ধারা বাতিল করার পর ফের পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে পথ আটকেছে বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।আগামী সোমবার মামলার শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করার অনুমতি চান আইনজীবী সং যুক্তা সামন্ত। ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত CRPF বাহিনী মোতায়েনের আর্জি। প্রধান বিচারপতি না থাকায় মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আবেদন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে এই মামলারও।