দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: “শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন”— নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা। তিনি সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানান যেন কেউ কোনও প্ররোচনায় পা না দেন। উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে সোমবার প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি পৌঁছান দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে। নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশ্বাস দেন সরকারের পাশে থাকার। সেখান থেকেই তাঁর স্পষ্ট বার্তা— “রাজনীতি নয়, এই সময়ে মানবিকতার পরিচয় দিতে হবে; সকলকে একসঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এদিন আক্রান্ত হতে হয় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে। তাঁদেরকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে একেবারে রক্তাক্ত অবস্থা হয় বিজেপি সাংসদের। শুধু তাই নয়, আহত হন শংকর ঘোষও। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধরা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে নাগরাকাটা এলাকা। ইতিমধ্যে ঘটনায় শাসকদল ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই নাগরাকাটায় পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই এই ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। বলেন, ”কোনও ঘটনা ঘটুক আমি চাই না। কেউ যদি প্লাবন এলাকায় ৩০/৪০ টা গাড়ি নিয়ে চলে যায় তাহলে জনতার দুঃখ হয়। রাজনীতি করতে আমি ওই এলাকায় যেতে চাই না।” তবে ডিজি পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। সবার সঙ্গে তিনি কথা বলে এসেছেন বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে নাগরাকাটা থেকেই মানুষের প্রতি তাঁর আহ্বান, ”শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন। দুর্যোগের সময় সবাইকে মিলে মিশে সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হবে। এটাই আমাদের মনুষ্যত্ব এবং মানবিকতা।” অন্যদিকে স্থানীয় মানুষজনকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ”আগামী দু, একদিনের মধ্যে ফের জোয়ার আসতে পারে। ওই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাস্তার ধারে সরকারের তরফে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা ভালো করেছেন। যাঁরা এখনও নিজের বাড়ি আঁকড়ে রয়েছেন, আপনারা দ্রুত এখানে চলে আসুন। নিরাপদে থাকবেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ে ভাবতে হবে না।” অন্যদিকে যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, সেসব বাড়ি সরকার তৈরি করে দেবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।