দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :চাকরিহারা শিক্ষকদের এসএসসি ভবন অভিযান ঘিরে বড় বিপত্তি। অডিয়োকাণ্ডে নাম জড়ানোর অভিযোগে মিছিলে অন্যতম আয়োজক সুমন বিশ্বাসকে হুগলির আদিসপ্তগ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল সুমনের বাড়িতে হানা দেয়। পরিবারের দাবি, সেখানেই তল্লাশি চালানো হয়।
রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসসি ভবন অভিযানে পুলিশের উপর হামলার পরিকল্পনার একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি দূরন্ত বার্তা)। তাতে শোনা যাচ্ছিল, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার পরিকল্পনা করছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা! এমনকি আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই ফোনালাপে। পুলিশের দাবি ছিল, এতে সুমন জড়িত রয়েছেন। সেই সুমনকে সোমবার সকালে আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে।
সুমনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশের একটি দল সুমনদের ব্যান্ডেলের বাড়িতে পৌঁছোয়। সে সময় সুমন সেখানে ছিলেন না। এর পর তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আদিসপ্তগ্রাম থেকে আটক করা হয় সুমনকে। সুমনের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাসের কথায়, ‘‘এখন খবর পেলাম, দাদা আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে আন্দোলনের জন্য যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ এসে তাঁকে ধরেছে। দাদাকে কোনও কথা বলতেও দেওয়া হয়নি। কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাও বলা হয়নি। ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া কি দাদার অপরাধ ছিল? আমরা কার কাছে যাব? সরকারি কর্মচারী হয়ে যদি সরকারের কাছেই এ ভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়, আমরা কোথায় যাব?’’
সোমবার এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের সংগঠন ‘চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক মঞ্চ’। রবিবার ডিসি বিধাননগর অনীশ সরকার দাবি করেন, ওই কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলার ছক কষা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে অনীশ জানান, ওই সংগঠনেরই সদস্য সুমন পুলিশের কাছে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে মেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই ছ’মিনিটের একটি রেকর্ডিং পুলিশের হাতে আসে। ওই ফোনালাপ থেকে বিক্ষোভকারীদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা যায়। এর ভিত্তিতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। যদিও রবিবারই পুলিশের দাবি উড়িয়ে দেন সুমন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা হিংসাত্মক আন্দোলনের পক্ষে নই। রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে যাতে আন্দোলনটাকে নষ্ট করে দেওয়া যায়।’’