দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দুই ছাত্রের মধ্যে প্রথমে বচসা, এরপর তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতিতে। হঠাৎই এক ছাত্র ছুরি বের করে হামলা চালায় অপর ছাত্রের উপর—এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, পথেই মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে একজন পড়ুয়া ছুরি নিয়ে মেট্রো স্টেশনের ভেতরে ঢুকে পড়ল? নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
মৃত পড়ুয়া মনোজিৎ যাদব, বরানগরের বাসিন্দা। বছর সতেরোর মনোজিৎ বাগবাজার হাইস্কুলের পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেট্রো চড়ে বাড়ি ফিরত সে। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেরার পথে মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে বচসা বাঁধে। তার মাঝে ছুরি হাতে আরেক বন্ধু হামলা চালায়। শেষমেশ মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে চার-পাঁচজন পড়ুয়া দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে এক যুবক আরেকজনের উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বন্ধুবান্ধদের দলে থাকা অন্যান্যরা মেট্রো স্টেশন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। আহতকে তারা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় স্কুলপড়ুয়ার।
ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে আরপিএফ। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত যাতায়াতকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই মেট্রোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেট্রোয় ব্লু লাইন সবচেয়ে পুরনো। শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে প্রতিদিন বহু যাত্রী যাতায়াত করেন। সম্প্রতি এই স্টেশনগুলির যাত্রী পরিষেবা নিয়ে ভুরি ভুরি প্রশ্ন উঠছে। তার মাঝে বন্ধুর উপর ছুরি হাতে হামলার ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে ব্যাগ পরীক্ষা করার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে এক ছাত্র ছুরি নিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে এই ঘটনার কোনও প্রভাব মেট্রো পরিষেবায় পড়েনি।