দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :এই পুজোয় যদি আপনার ভ্রমণ তালিকায় দার্জিলিং থাকে, তবে রয়েছে দারুণ খবর। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পাহাড়ে পর্যটনের মরশুম জমজমাট হয়ে ওঠে। কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ টয়ট্রেনও টানে পর্যটকদের। এ বার সেই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে চালু করতে চলেছে তিনটি নতুন টয়ট্রেন পরিষেবা।
ওই ট্রেনগুলোর একটি ‘চা ট্রেন’। অন্য দুটোর একটি হারিয়ে যেতে বসা ‘স্টিম ইঞ্জিন’ এবং অন্যটি ‘কার্শিয়াং মহানদী সানরাইজ স্পেশাল সার্ভিস’। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ১৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ওই পরিষেবা চালুর কথা মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে। ‘চা ট্রেন’ চলবে প্রতি শনিবার ও রবিবার। একই দিনে চলবে স্টিম ইঞ্জিন। রবিবার চলবে ‘কার্শিয়াং মহানদী সানরাইজ স্পেশাল সার্ভিস’। পর্যটন মরশুমে পর্যটক ও পর্যটন শিল্পে আরও জোয়ার আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। আম বাঙালি পর্যটক ছাড়াও বহু বিদেশি এই মরশুমে পাহাড়ে হাজির হন। টয়ট্রেনে চেপে পাহাড়ের সৌন্দর্যও উপভোগ করেন। সকলের কাছেই তাই এই নতুন ট্রেনের খবর বাড়তি আনন্দের হবে, তাতে সন্দেহ নেই।
“১৮৮০ সালে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত প্রথম টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছিল। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এবার পর্যটকদের জন্য তিনটি পরিষেবা চালু হচ্ছে।” দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি শনিবার ও রবিবার চা ট্রেন দুপুর ১২টা নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে দুপুর দেড়টায় রংটং স্টেশনে পৌঁছবে। সেখানে চার ঘণ্টা থামবে ট্রেনটি। ওই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের আশপাশের চা বাগান, চা কারখানা, চা পাতা তোলা ঘুরে দেখানো হবে। স্থানীয় খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন তাঁরা। এরপর ওই ট্রেনেই শিলিগুড়ি ফিরবেন পর্যটকরা। পরিষেবাটি বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে রেল কর্তাদের দাবি। চা বাগান এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হবে বলেই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চা ট্রেন’।
অন্যদিকে প্রতি শনিবার দার্জিলিং থেকে একটি স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয়ট্রেন কার্শিয়াং পর্যন্ত চলবে। রবিবার সেটি কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিংয়ে ফিরে যাবে। যাত্রাপথে স্টেশনের পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দাঁড়াবে সেই ট্রেন। পর্যটকরা প্রকৃতির ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। রবিবার সকালে কার্শিয়াং মহানদী সানরাইজ স্পেশাল সার্ভিস শুরু হবে। এটি কার্শিয়াং থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে। সকাল ১০টায় মহানদীতে ফিরে আসবে। পর্যটকদের কাছে এই তিন পরিষেবা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন কর্তারা। এদিন, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে একটি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিখরচায় ঘোরানো হয়।