দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুর জন্মের পর মায়ের সঙ্গে তার যে অদৃশ্য যোগাযোগ তৈরি হয়, তা অনেক সময়ই ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। কান্নার স্বর শুনেই মা বুঝে যান সন্তানের খিদে লেগেছে, ঘুম পাচ্ছে, না কি কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সেই ছোট্ট সন্তানই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে, পা রাখে কৈশোরে—যা জীবনের অন্যতম সংবেদনশীল অধ্যায়। এই সময়টাতেই সন্তানের মনোজগতে ঘটে নানা পরিবর্তন। নিজস্ব মত গড়ে ওঠে, বাড়ে স্বাধীনচেতা মনোভাব। অথচ বাবা-মা তখনও সন্তানকে আগলে রাখতে চান আগের মতোই। এখানেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। বাবা-মায়ের শাসন বা সুরক্ষা তখন সন্তানের চোখে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাড়তে থাকে মানসিক দূরত্ব। সম্পর্কের উষ্ণতায় ফাটল ধরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৈশোরে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিলে অনেক সময় বিপদে পড়তে পারে সন্তান। আবার তাকে সবকিছুতে বেঁধে রাখলেও তার আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে না। তাই প্রয়োজন বয়স ও মানসিক পরিপক্বতার ভিত্তিতে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা। একজন কিশোর-কিশোরীর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বুঝে তবেই তার স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত।
জেনে নিন স্বাধীনতা দেওয়ার আগে ঠিক কীভাবে যাচাই করবেন নিজের সন্তানকে—
১। স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স খুব বড় ফ্যাক্টর। যদি আপনার সন্তান ১৫-১৬ বছর বয়সি হয় তবে ভুলেও তাকে বেশি রাতে একা বাইরে কিংবা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর স্বাধীনতা দেবেন না। তাকে বুঝিয়ে বলুন, এই স্বাধীনতা পেতে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
২। কোনও কিছুর স্বাধীনতা দেওয়ার আগে পরিষ্কার করে কথা বলে নিন। ঠিক যেমন: কখন বাড়ি থেকে বেরবে, কখন ফিরতে হবে, কতক্ষণ সময় সে বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে পারে, ইত্যাদি…।
৩। যদি সে শর্তপূরণ না করে। তবে আপনাকে অবশ্যই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যবস্থা না নিলে সে বারবার একই ভুল করবে।
৪। স্বাধীনতা পেলে কিছু কিছু দায়িত্ব নিতে হবে, তা বুঝিয়ে দিন। কিশোর সন্তানকে দায়িত্ব দিন। কাজগুলি সে করতে পারে কিনা খেয়াল রাখুন। তাতে সে দায়িত্বপরায়ণ হবে।