দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তর্জনগর্জনই সার। লাখ লাখ ভোটের ব্যাবধানে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন একাধিকবার। কিন্তু শেষমেশ পিছু হঠলেন। ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) কেন্দ্রের লড়াই থেকে পিছু হঠেছেন নওশাদ সিদ্দিকি। শেষ পর্যন্ত সেই ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। তবে যে নওশাদের এই আসনে দাঁড়ানো নিয়ে বিস্তর জল্পনা হয়েছিল তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। উল্টে লড়ছেন মজনু লস্কর। এদিকে নাম ঘোষণা হতে না হতেই অভিষেককে এক হাত নিলেন মজুন। চাঁচাছোলা ভাষায় দাগলেন তোপ। খোঁচা দিয়ে বললেন, “আমার বিরুদ্ধে যিনি প্রার্থী হয়েছেন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স তো ৩৬ বছর। আমার বয়স ৪২। তাহলে ভাইকে দাদা কী ভয় পায়? আপনারা আপনাদের ভাইকে কী ভয় পান?”
বৃহস্পতিতেই একটি টুইট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে, নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নৌশাদ সিদ্দিকী বলে। এই জন্যই আমরা বলি, পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না।'
শুধু দেবাংশু নয়, কটাক্ষের বন্যা সর্বত্র। এবার ‘আত্মপক্ষ সমর্থন’-এ যুক্তির ঢাল সাজালেন নওশাদ। কেন ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়লেন না তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে 'আবেগ স্তুতি' শোনা গেল নওশাদের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'আমারও আবেগ আছে। কিন্তু, নওশাদের জন্য আই এস এফ নয়, আই এস এফ এর জন্য নওশাদ। দলের একটা সিস্টেম আছে। সেটাই প্রাধান্য । দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চই ভালোর জন্য নিয়েছে।' পাশাপাশি তিনি যাতে গোটা রাজ্যে গিয়ে প্রচার চালাতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই দল তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে, প্রকারান্তে দাবি নওশাদের।
এই প্রসঙ্গে নওশাদ ফের একবার 'দলের দোহাই' দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমার মন হয় এই বার্তা দলের নীচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছবে যে এই দলে চেয়ারম্যানের ইচ্ছার থেকে দলের সিদ্ধান্ত বড়।' সব মিলিয়ে তিনি যে 'দল নিবেদিত প্রাণ' তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন নওশাদ। এদিকে বাম কংগ্রেস আসন সমঝোতার দিকে ঝুঁকলেও ISF-এর সঙ্গে জোটের কোনও সম্ভাবনা আর নেই বলেই পর্যবেক্ষণ ওয়াকিবহাল মহলের।
নওশাদ বলেন, 'বুধবার রাত পর্যন্ত আলোচনার দরজা খোলা ছিল। কিন্তু, সদর্থক উত্তর আমাদের কাছে আসেনি। আমরা অনেকটা নেমেছি । কিন্তু, দেখছি শুধু আলোচনা হচ্ছে। আর সময় আমাদের থেকে দ্রুত কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যে আসনগুলো আমাদের ছাড়তে হত সেগুলোতে তাঁরা প্রার্থী ঘোষণা করে দিল। ন্যূনতম সম্মান আমাদের দেওয়া হচ্ছে না।'