kolkata

1 year ago

Kolkata Bus: গঙ্গার তলায় মেট্রো হলে কমবে যাত্রী সংখ্যা! আশঙ্কায় বাস মালিকরা

Kolkata Bus (File Picture)
Kolkata Bus (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নুতন পালক যুক্ত হয়েছে তিলোত্তমার মুকুটে। শুরু হল দেশের মধ্যে প্রথম গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো। যাত্রীরা এবার অনায়াসেই কলকাতা থেকে হাওড়া পৌঁছবেন। অনেকটা সময়ও বাঁচবে। সেই কারণেই, চিন্তায় কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন বাস রুটের মালিকরা। কী হবে প্রায় ১০১ বছরের পুরনো ৫২ নম্বর বাস রুটের।

ধর্মতলা থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত রয়েছে এই ৫২ নম্বর বাস রুট। শতাব্দী প্রাচীন এই বাসই ছিল যাত্রীদের ওপারে যাওয়ার অন্যতম ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বাস রুট কি এবার নাম লেখাবে ইতিহাসের পাতায়? আশঙ্কায় রুটের বাস মালিকদের। মেট্রো যাত্রীদের জন্য চালু হয়ে গেল এক ধাক্কায় অনেকটাই যাত্রী সংখ্যা কমে যাবে বলে মনে করছেন বাস মালিকরা।

প্রায় ১০১ বছর আগে এই বাস রুট চালু করা হয়েছিল। রামরাজা মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অযোধ্যা রাম চৌধুরী এই বাস রুট চালু করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর ছেলের মন্দিরের দর্শনার্থীদের জন্য এই রুট চালু করেছিলেন। সেই থেকে এই বাস রুট আজও চলে আসছে। আগে রামরাজাতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত এই বাস রুট চালু থাকলেও, পরে সেটিকে ধর্মতলা পর্যন্ত করা হয়।

একটি বাংলা সংবাদপত্রে বাস রুট সংগঠনের সম্পাদক ভোলানাথ চৌধুরী জানিয়েছে, এই বাস রুট এখন আর কেন ব্যবহার করবে যাত্রীরা। ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে তাঁরা কেন এই বাস রুট ধরে যেতে যাবে। যেখান কম খরচে অনেকটা কম সময়ে এই মেট্রো দিয়ে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বাস রুট আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। একাংশের দাবি, এই বাস রুট ধর্মতলা থেকে কলকাতার দিকে আরও বাড়ানো যেতে পারে। আবার অনেকে চাইছেন, এই বাস রুট হাওড়ার দিকে ধুলাগড় পর্যন্ত বাড়ানো হোক।

৫২ নম্বর রুটের পাশাপাশি ৫৫ ও সি রুটের বাস মালিকরাও একই সমস্যায় পড়তে চলেছেন। সেই কারণেই এই সপ্তাহে বাস মালিকরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই বাস রুটের ভবিষ্যত কী হবে? তাই নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছেন বাস মালিকরা। এই রুটের বাস টিকিয়ে রাখতে রুট বাড়ানোর চিন্তাভাবনাতেই সম্মতি দিচ্ছেন বেশিরভাগ বাস মালিক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা হবে সেই বৈঠকেই। তবে সকলেরই মত, শতাব্দী প্রাচীন এই বাস রুটের একটি ইতিহাস আছে। এই রুটকে কোনওভাবেই বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতি নন তাঁরা। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান বাঁচানোর লক্ষ্যেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

You might also like!