দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে ফের সন্দেশখালি যেতে বাধা। ধামাখালিতে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁকে মঙ্গলবার আটকানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্দেশখালি অভিমুখে যাত্রা করেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাটও। তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএম নেত্রী। আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু-সহ ছ’জনকেও।
সন্দেশখালিতে ঢোকার জন্য রয়েছে মোট পাঁচটি ঘাট। ধামাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, খুলনা ঘাট এবং জেলেখালি ঘাট— এই পাঁচটি ঘাটেই মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দুদের। পুলিশকে শুভেন্দু জানান, তাঁর সঙ্গে আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র রয়েছে। তাও কেন তাঁদের সন্দেশখালি ঢুকতে দেওয়া হবে না? বিরোধী দলনেতা জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া না হলে তিনি আবার কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে আমি গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের দ্বারস্থ হব। হাই কোর্টকেও মানছে না মমতার সরকার।’’
সন্দেশখালি রওনা দেওয়ার আগে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, রাজ্য সরকার এ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারে বলে তাঁর কাছে খবর আছে। সে ক্ষেত্রে যদি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যদি তাঁকে সন্দেশখালি ঢুকতে নিষেধ করে, তাহলে তিনি ফিরে আসবেন।
শুধু শুভেন্দুদেরই নয়, ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয় বৃন্দাদেরও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বৃন্দারা। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না। এটা অগণতান্ত্রিক। শেখ শাহজাহানকে পুলিশ খুঁজে পায় না। কারণ, তিনি তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। কেউ কেউ বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছেন। আমি বলতে চাই, রাষ্ট্রপতির বকলমে বিজেপি শাসন চালাতে চায়। একে আমি বলি, জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ! বিকল্প সরকার চায় মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগণতান্ত্রিক শাসন বা রাষ্ট্রপতি শাসনের বকলমে বিজেপির শাসন চায় না মানুষ।’’