দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষুব্ধ হুমায়ুন কবীর। ভোটের দিন ঘোষণার পর বড় পদক্ষেপ করবেন বলে জানান মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক। বলেন, নতুন দল করবেন প্রয়োজনে। রবিবার জনগর্জন সভা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ৪২ জন প্রার্থীরই নাম ঘোষণা করেছে। সকলকে চমকে দিয়ে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। জোর চর্চা শুরু হয় এ নিয়ে।
দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এর আগে উঠেছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। নতুন দল তৈরির কথা ভাবছেন, এমনটাও বলতে শোনা গেছিল হুমায়ুনকে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পরোক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়েও তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে খুব মধুর নয়, তাও পরিস্কার। এই আবহে লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বহরমপুরে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে শাসক দল। এরপরই কার্যত দলবদলের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের এই 'বিদ্রোহী' বিধায়ক। হুমায়ুন বলেন, ''ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়নি। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি। সে সব শুরু হলেই সিদ্ধান্ত নেব। নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।''
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, ''প্রার্থী নির্বাচনের আগে দল কোনও পরামর্শ নেয় না। আগেও নেয়নি। এখন আমি পদক্ষেপ নিলে দল সাসপেন্ড করতেই পারে। সিদ্ধান্ত মেনে নেব। তবে দল যদি আগে পাঠানকে নিয়ে সিদ্ধান্ত আগে জানাত, সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম।'' তিনি এও জানিয়েছেন, তৃণমূল যদি মনে করে তাঁদের নিয়ে যা খুশি তাই করবে, সেটা হবে না। ইউসুফ পাঠান সম্পর্কে হুমায়ুন বলেন, মানুষ এই ধরনের প্রার্থী এলাকায় চাইছে না। আমজনতার জন্য যে কাজ করতে পারবে, তাকেই তাঁরা ভোট দেবেন।
ভরতপুরের বিধায়কের দাবি, তাঁরা মানুষের হয়ে কাজ করেন। মানুষের কথা ভেবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। সেক্ষেত্রে তিনি ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করাতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন। পাঠানকে নিয়ে তাঁর ঠিক কী সমস্যা সেটাও জানিয়েছেন হুমায়ুন। তাঁর যুক্তি, বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অভিজ্ঞ, যোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন। ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করে আদতে তৃণমূল সুবিধা করে দিয়েছে বিজেপির, এমনই দাবি তাঁর। তবে এবার কি বিজেপিতে যাবেন হুমায়ুন কবীর? সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি।